ধোপে টিকল না ২৩ বিধায়কের দাবি, আসন্ন নির্বাচনেও ‘ক্যাপ্টেন্সি’ সামলাবেন অমরিন্দরই, নির্দেশ শীর্ষনেতৃত্বের
সিধুর পরামর্শদাতাকে ধমক দেওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের বিরোধিতা করতে শুরু করেন দলের কিছু সদস্যই।
অমৃতসর: কংগ্রেসের অন্দরে কোন্দল এখন স্বাভাবিক ঘটনা। নির্বাচনের ঠিক আগেই ফের একবার সিধু বনাম ক্য়াপ্টেনের দ্বৈরথ শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সিধু ঘনিষ্ট চার মন্ত্রী সহ মোট ২৩ জন বিধায়ক দাবি জানান, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হোক অমরিন্দর সিংকে। আগামী বিধানসভা নির্বাচনেও যাতে তাঁকে মুখ্যমন্ত্রীর পদ প্রার্থী না করা হয়, সেই দাবিও জানান তারা। যদিও এ দিন সকালে পঞ্জাব কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা হরিশ রাওয়াত জানিয়ে দেন যে আসন্ন নির্বাচনে দলের নেতৃত্ব দেবেন অমরিন্দর সিংই।
প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধু বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদানের পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংয়ের সঙ্গে একাধিকবার বাদানুবাদে জড়িয়েছেন। পঞ্জাব কংগ্রেসের দায়িত্ব সিধুর হাতে তুলে দেওয়া ঘিরেও দীর্ঘদিন টানাপোড়েন চলে দলের অন্দরে। অবশেষে সনিয়া গান্ধীর নির্দেশে তিনিও সিধুকে দলের প্রধান হিসাবে গ্রহণ করে নেন। সেই সময়ে দুই শীর্ষ নেতার মধ্যে বিরোধ মিটে গিয়েছে বলে মনে করা হলেও সম্প্রতিই সিধুর পরামর্শদাতা মালবিন্দর সিং মালির একটি টুইট ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়। তার প্রভাব পড়ে দলের অন্দরেও।
গত সপ্তাহেই মালি টুইটারে লেখেন, “কাশ্মীর একটি পৃথক দেশ। ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশই অবৈধভাবে দখল করেছে কাশ্মীর। এই দেশ আসলে কাশ্মীরিদের।” এই মন্তব্যের পরই বিরোধীদের পাশাপাশি কংগ্রেসের তরফেও সমালোচনা করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, “সংবেদনশীল বিষয়গুলি নিয়ে এমন কোনও মন্তব্য করা ঠিক নয় যা ভাবাবেগকে আঘাত করতে পারে। যে বিষয়ে জ্ঞান কম কিংবা জ্ঞান নেই কিংবা তার অন্তর্নিহিত অর্থ সম্পর্কে কোনও বোধ নেই, সেই সমস্ত বিষয়ে মুখ না খোলাই ভাল।”
অমরিন্দর সিংয়ের এই মন্তব্যের পরই দলের কিছু সদস্যই তাঁর বিরোধিতা করতে শুরু করেন। তৃপ্ত রাজিন্দর বাজওয়া, সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া, চরণজিৎ সিং চান্নি, সুখবিন্দর সিং সরকারিয়া, পারগাত সিং সহ মোট ২৩ জন বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে অমরিন্দর সিংকে সরানোর দাবি জানান। তৃপ্ত বাজওয়া বলেন, “ক্যাপ্টেনকে সরানো দরকার, নাহলে কংগ্রেস টিকে থাকবে না। এই বিষয়ে আমরা দলনেত্রী সনিয়া গান্ধীর সঙ্গেও কথা বলব।”
দলের বিধায়কদের এই ঘোষণার পরই পরিস্থিতি সামাল দিতে মাঠে নামেন দলের প্রবীণ নেতা হরিশ রাওয়াত। এ দিন তিনি বলেন, “ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের নেতৃত্বেই আমরা ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচন লড়ব।” উল্লেখ্য, সম্প্রতিই হরিশ রাওয়াতের সঙ্গে দেহরাদুনে দেখা করেন তৃপ্ত রাজিন্দর সিং বাজওয়া, সুধবিন্দর সিং সরকারিয়া, সুখজিন্দর সিং রানধাওয়া ও চরণজিৎ সিং দেখা করেন।