Anand Sharma: ইস্তফার পর নড়ল টনক! সনিয়ার নির্দেশে আনন্দ শর্মার সঙ্গে কথা শুক্লর
Himachal Pradesh: দলীয় সভানেত্রীকে লেখা ইস্তফাপত্র আনন্দ শর্মা জানিয়েছিলেন, কীভাবে বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল সংক্রান্ত বিভিন্ন বৈঠক তাঁকে অন্ধকারে রেখে করা হচ্ছে এবং তাঁর সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।
নয়া দিল্লি: হিমাচল প্রদেশে (Himachal Pradesh) দলের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আনন্দ শর্মা (Anand Sharma)। শর্মার ইস্তফার একদিন পর তাঁর মানভঞ্জনে উদ্যোগী হল কংগ্রেস। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী এআইসিসির তরফে হিমাচল প্রদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেতা রাজীব শুক্লকে সোমবার সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব দিয়েছেন। বিধানসভা নির্বাচনের আগে রবিবার টুইট করে দলীয় পদ থেকে নিজের ইস্তফার কথা ঘোষণা করেছিলেন আনন্দ শর্মা। তিনি জানিয়েছিলেন, ক্রমাগতভাবে কোণঠাসা ও অপমানিত হওয়ার পর তাঁর কাছে অন্য কোনও উপায় ছিল না। সোমবার ১০ জনপথে সনিয়া গান্ধীর বাসভবনে তাঁর সঙ্গে দেখা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সমস্যা সমাধানের জন্য আনন্দ শর্মার সঙ্গে দেখা করেন রাজীব শুক্ল।
দলীয় সভানেত্রীকে লেখা ইস্তফাপত্র আনন্দ শর্মা জানিয়েছিলেন, কীভাবে বিধানসভা নির্বাচনের রণকৌশল সংক্রান্ত বিভিন্ন বৈঠক তাঁকে অন্ধকারে রেখে করা হচ্ছে এবং তাঁর সঙ্গে কোনও ধরনের আলোচনা না করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। শর্মার সঙ্গে বৈঠকের পর রাজীব শুক্ল বলেন, “আনন্দ শর্মী প্রবীণ নেতা এবং কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য। তিনি রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি পাশাপাশি রাজ্য নির্বাচন কমিটির সদস্য। তাই আমাদের দায়িত্ব তাঁর সঙ্গে দেখা করা। আমাদের সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে এবং তিনি দলের প্রতি নিবেদিত প্রাণ।” দলীয় পদ থেকে শর্মার ইস্তফা প্রসঙ্গে শুক্ল বলেন, “এটা দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাঁর কোনও অসন্তোষ নেই। তিনি নিজে জানিয়েছেন তিনি দলের হয়ে প্রচার করবেন।” সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশে যাবেন আনন্দ শর্মা।
সম্প্রতি আরেক প্রবীণ কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদকে জম্মু কাশ্মীর কংগ্রেসের প্রচার কমিটির প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করার কিছুক্ষণ পরই ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি। আনন্দ শর্মার ইস্তফাতে কংগ্রেসের অন্দরের সমীকরণ খানিকটা স্পষ্ট হয়েছে। গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা দলের অন্দরে বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গোষ্ঠীর অন্যতম পরিচিত মুখ। দলীয় রণকৌশল ও নেতৃত্বের প্রশ্নে তারা বরাবর মুখ খুলেছেন। আগামী দিনে এই প্রবীণ নেতাদের নিয়ে দলের অবস্থান কী হয়, সেটাই এখন দেখার।