‘প্রধানমন্ত্রী অকাজের নয়, কেবল দু’জনের জন্যই কাজ করেন’, চরম কটাক্ষ রাহুলের

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Feb 27, 2021 | 6:57 PM

তিনদিনের রাজ্য সফরে তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) গিয়েছেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandh)। সেখানে তিনি একটি সভায় বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) চিন(China)-কে ভয় পান। ভারতের তরফে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছিল এবং চিনা পক্ষ সেটি বুঝেও ছিল। সেই থেকেই চিন অনুপ্রবেশ চালাচ্ছে।"

প্রধানমন্ত্রী অকাজের নয়, কেবল দুজনের জন্যই কাজ করেন, চরম কটাক্ষ রাহুলের
সভামঞ্চে রাহুল গান্ধী। ছবি:ANI

Follow Us

চেন্নাই: “ফের হাম দো, হামারে দো” কাঁটায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)-কে বিঁধলেন বিরোধী নেতা রাহুল গান্ধী। শনিবার তামিলনাড়ুতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী চিনকে ভয় পান।” একইসঙ্গে দেশের নির্দিষ্ট কয়েকজনের হয়ে প্রধানমন্ত্রী কাজ করেন বলেও অভিযোগ করেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)।

চলতি বছরে বাজেট অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই লোকসভা (Lok Sabha)-এ রাহুল গান্ধী বলেছিলেন, “মোদী সরকার কেবল দুজন স্বার্থান্বেষী বন্ধুর জন্যই কাজ করেন। হাম দো, হামারে দো-এই স্লোগানটিকে নতুন অর্থ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।” এরপর থেকেই বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচার সভা ও অনুষ্ঠানে রাহুল গান্ধীর মুখে বারবার ফিরে আসে এই কথা।

শুক্রবার নির্বাচনের দিন ঘোষণা হতেই শনিবার সকালে তিনদিনের রাজ্য সফরে তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) পৌঁছন রাহুল গান্ধী। আজ থুত্তুকুড়িতে একটি জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, “প্রশ্নটি এই নয় যে প্রধানমন্ত্রী আদৌই কাজের কিনা। আসল প্রশ্ন হল তিনি কাদের জন্য কাজ করেন? প্রধানমন্ত্রী মোদী দুজনের জন্য অত্যন্ত সাহায্যকরী। হাম দো, হামারে দো তাঁকে ব্যবহার করছেন নিজেদের সম্পদ বাড়ানোর জন্য। গরীবদের জন্য তিনি কোনও কাজেরই নন।”

আরও পড়ুন: ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ, ৪ শহরে নাইট কার্ফুর মেয়াদ বাড়ল আরও ১৫ দিন

একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, লাদাখে চিনের সঙ্গে বিরোধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ভয় পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালে অরুণাচল প্রদেশের ডোকলামে তাই চিনের “পরিকল্পনা”কে বাস্তায়িত করতে দিয়েছিলেন। এই বিষয়ে রাহুল গান্ধী বলেন, “প্রাথমিকভাবে চিন আমাদের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকা দখল করেছিল। জায়গা দখলের এই পরিকল্পনা তারা প্রথমে ডোকলামে বাস্তবায়িত করেছিল। তারা দেখতে চেয়েছিল যে ভারতের প্রতিক্রিয়া কী হয়। যখন দেখল ভারত কোনও সাড়াশব্দ করল না, তখন তারা ফের লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশে সেই প্রচেষ্টাই চালাল।”

রাহুলের অভিযোগ, চিনা অনুপ্রবেশে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল “দেশে কোনও অনুপ্রবেশ হয়নি।” তিনি আরও যোগ করে বলেন, “এতেই চিন বুঝেছিল যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী তাদের ভয় পায়। ভারতের তরফে এই বার্তাই দেওয়া হয়েছিল এবং চিনা পক্ষ সেটি বুঝেও ছিল। সেই থেকেই চিন অনুপ্রবেশ চালাচ্ছে। এই সরকার থাকা অবধি দেপস্যাংয়ে আমাদের জমি ফেরত পাওয়া যাবে না, আমার কথা মিলিয়ে রাখুন। প্রধানমন্ত্রী ওই জমি ফেরাতে পারবেন না, বরং সবকিছু ঠিক আছে, এমনই অভিনয় করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এইধরনের বার্তা ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। চিন কেবল লাদাখেই সীমাবদ্ধ থাকবে না।”

কংগ্রেস যুগের সঙ্গে তুলনা করে তিনি বলেন, “কংগ্রেস দ্বিধাহীনভাবেই চিনকে সামলেছিল। ২০১৩ সালে চিন যখন ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিল, আমরা কড়া পদক্ষেপ করেছিলাম। সেই কারণেই তারা সমঝোতা করতে বাধ্য হয়েছিল এবং আমরা নিজেদের জমি ফিরিয়ে এনেছিলাম। কিন্তু এখন চিন বুঝে গিয়েছে যে এই প্রধানমন্ত্রীর কোনও সাহস নেই। তিনি সমঝোতার পথেই হাঁটবেন।”

আরও পড়ুন: অসমে কি বিজেপির বিষম কাঁটা সিএএ?

Next Article