রায়পুর: অমর জওয়ান জ্যোতি (Amar Jawan Jyoti) নিয়ে ফের বিতর্ক উসকে দিতে চাইছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী(Rahul Gandhi)। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগেই ন্যাশনাল ওয়ার মেমরিয়ালের সঙ্গে অমর জওয়ান জ্যোতিকে মিলিয়ে দেওয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র, তার চরম বিরোধিতা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। বলেছিলেন, “ফের অমর জওয়ান জ্যোতি জ্বালাব আমরা”। সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করতেই আজ ছত্তীসগঢ়ে (Chhattisgarh) অমর জওয়ান জ্যোতির ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করবেন তিনি।
৭১’র মুক্তিযুদ্ধে শহিদ ভারতীয় জওয়ানদের শ্রদ্ধা জানাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ১৯৭২ সালের ২৬ জানুয়ারি তৈরি করেছিলেন ‘অমর জওয়ান জ্যোতি’ নামক এই শহিদ স্মৃতি সৌধের। ৫০ বছর পর, গত ২১ জানুয়ারি নিভিয়ে ফেলা হয় সেই শিখা। ন্যাশনাল ওয়ার মেমরিয়ালের চিরশিখার সঙ্গে অমর জওয়ান জ্যোতির আগুন মিশিয়ে দেওয়া হয়।
এর এক সপ্তাহ পরই ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল টুইট করে লেখেন, “ছত্তীসগঢ়ের শহিদ বীর (পুলিশ, প্যারামিলিটারি, সেনা জওয়ান)-দের, যারা দেশের যেকোনও অংশে শহিদ হয়েছেন,আমরা তাদের শ্রদ্ধা জানাব। একইসঙ্গে দেশের সেই সমস্ত বীর জওয়ানরা, যারা আমাদের রাজ্যে শহিদ হয়েছেন, তাদেরও এই স্মৃতিসৌধের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানানো হবে। শহিদ জওয়ানদের বীরত্বের কাহিনী আগামী প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। যারা দেশের জন্য লড়েনি, তারা এই অনুভূতি বুঝতে পারবে না।”
কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ ছত্তীসগঢ়ে একাধিক কর্মসূচি রয়েছে রাহুল গান্ধীর। তার মধ্যেই অন্যতম হল অমর জওয়ান জ্যোতির ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন। রায়পুরে তৈরি এই শহিদ স্মৃতি সৌধ, দিল্লির অমর জওয়ান জ্যোতির অনুকরণেই তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিনের ভূমিপুজোর অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন রাহুল গান্ধী।
১. ছত্তীসগঢ়ের সশস্ত্র বাহিনীর শহিদ জওয়ানদের স্মৃতিতেই এই শহিদ বেদী তৈরি করা হবে। রায়পুরে ছত্তীসগঢ় সশস্ত্র বাহিনীর চতুর্থ ব্য়াটেলিয়নের চত্বরে এই শহিদ বেদী তৈরি করা হবে।
২. রাজ্যের সমস্ত শহিদ জওয়ানদের নাম ওই স্মৃতি সৌধে খোয়াই করা থাকবে। একইসঙ্গে দিল্লির অমর জওয়ান জ্যোতির অনুকরণেই একটি মশাল জ্বালানো থাকবে। থাকবে ভিভিআইপি প্ল্যাটফর্মও। বাদামী মার্বেল পাথর দিয়ে এর দেওয়াল তৈরি করা হবে, সেই দেওয়ালেই শহিদদের নাম লেখা থাকবে।
৩. দেওয়ালের সামনেই একটি সৌধ তৈরি করা হবে। সাদা ও বাদামী মার্বেল গ্রানাইট পাথর ও বেলেপাথর দিয়ে এই সৌধ তৈরি করা হবে।
৪. সৌধের সামনে একটি রাইফেল ও হেলমেটের প্রতিকৃতি রাখা থাকবে, যা জওয়ানদের প্রতি শ্রদ্ধাই জানান দেবে। এর সামনেই থাকবে ছত্তীসগঢ়ের অমর জওয়ান জ্যোতি। এই আগুন যাতে সবসময় জ্বলে, তার জন্য মাটির নীচ থেকে জ্বালানি সরবরাহের ব্যবস্থাও করা হবে।
৫. শহিদ মেমরিয়ালের সামনে একটি দ্বিতল বিল্ডিংও তৈরি করা হবে।