নয়া দিল্লি: ভোটের আগেই ফের বড় ধাক্কা কংগ্রেসের (Congress)। এ বার উত্তরাখণ্ডের কংগ্রেস বিধায়ক রাজকুমার (Rajkumar) বিজেপি(BJP)তে যোগ দিলেন। এ দিন তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan), উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি (Pushkar Singh Dhami) ও বিজেপি সভাপতি মদন কৌশিক(Madan Kaushik)-র উপস্থিতিতে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন।
আগামী বছরই উত্তরাখণ্ডে বিধানসভা নির্বাচন (Uttarakhand Assembly Election 2022) রয়েছে। তার আগেই ফের ভাঙন ধরেছে কংগ্রেসে। পুরোলার বিধায়ক রাজকুমার কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। দিল্লিতে তিনি বিজেপির কার্যালয়ে যোগদান করেন।
বিজেপিতে যোগ দিয়েই তিনি বলেন, “সমাজের নীচুস্তরের মানুষদের স্বাধীন ও স্বাবলম্বী বানানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। সেখানেই স্বাধীনতার পর থেকে কংগ্রেস সাধারণ মানুষকে ভর্তুকির উপর নির্ভরশীল বানানোর চেষ্টা করেছে। উত্তরাখণ্ডে বিজেপি যে উন্নয়ন করেছে, সেটা দেখেই আমি বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
BJP is working towards making people from the lower caste independent, while Congress has made these people dependent on subsidies since Independence. I've joined the party today after seeing BJP's great work in Uttarakhand: Purola MLA Rajkumar pic.twitter.com/TPQ2GUl1y8
— ANI (@ANI) September 12, 2021
২০০৭ সাল থেকে ২০১২ সাল অবধি রাজকুমার বিজেপিতেই ছিলেন। তবে ২০১২ ও ২০১৭ সালের নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় না করানোয় তিনি বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। তবে নির্বাচনের এক বছর আগেই ফের দল বদল করে বিজেপিতেই ফিরলেন তিনি।
আগামী বছরই উত্তরাখণ্ড, উত্তর প্রদেশ, পঞ্জাব সহ পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন রয়েছে। তার আগেই বিধায়কের দলত্যাগে কংগ্রেস আরও বড় ধাক্কা খাবে। এমনিতেই বিগত কয়েক বছর ধরে উত্তরাখণ্ডে কংগ্রেসের সংগঠন দুর্বল হয়ে গিয়েছে। এরমধ্যে নির্বাচনের আগে হঠাৎ বিধায়কের দল ছাড়ায় আসন্ন নির্বাচনেও তার প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, বিজেপির দলের অন্দরেও কোন্দল দেখা দিয়েছে। ২০১৭ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসার পরই ইতিমধ্যে তিনজন মুখ্যমন্ত্রী বদল হয়েছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তিবেন্দ্র সিং রাওয়াত(Trivendra Singh Rawat)-র বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও স্বজনপোষণের অভিযোগ ওঠায় তাঁকে চলতি বছরের মার্চ মাসে মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। গত ১০ মার্চ উত্তরাখণ্ডের নতুন মুখ্যমন্ত্রী হন তিরথ সিং রাওয়াত। নিয়ম অনুযায়ী, যে কোনও মন্ত্রীর পদে বসার জন্যই বিধায়ক হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু তিরথ সিং রাওয়াত বিধায়ক নন।
সংবিধানের শর্ত অনুযায়ী, মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যে উপ নির্বাচনে জয়ী হতে হয় ওই প্রার্থীকে। ১০ সেপ্টেম্বর সেই ছয় মাসের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জন্য উপ-নির্বাচন অনিশ্চিত হওয়ায় এবং একাধিক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে মেয়াদ শেষের আগেই মুখ্যমন্ত্রী পদ ছাড়েন তিনিও। তিরথ সিং রাওয়াতের পরিবর্তে বিজেপি বিধায়করা নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বেছে নেন পুষ্কর সিং ধামিকে।
আগামী বছরের শুরুতেই বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা। তার আগেই রাজ্য বিজেপির তরফে বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে নতুন প্রার্থী দেওয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করা হয়েছে। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশীকে মুখ্য পর্যবেক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। দলের মুখপাত্র আরপি সিং ও লোকসভার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়কেও সহকারি পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠলে কোভ্যাক্সিনের একটি ডোজ়ই কি যথেষ্ট? স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাল…