Adhir Chowdhury: ভোটে আমাকে হারানোর সব প্রস্তুতি নিয়ে ফেলেছেন মমতা, উপভোগ করছি: অধীর
টিভি৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধীর চৌধুরী সাফ জানিয়েছেন, “তৃণমূলের কাছে জোট ধর্ম শেখার কিছু নেই। তৃণমূলকে আমি বিশ্বাসযোগ্য দল বলেই আমি মনে করি না।” সেই সঙ্গে অধীর জানিয়েছেন, বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াই চলবে। সেই সঙ্গে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে হারাতে তৃণমূল সরকার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন অধীর।
নয়াদিল্লি: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের লক্ষ্যে গঠিত হয়েছে ইন্ডিয়া জোট। কিন্তু তার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে সেই জোটের ঐক্যে ফাটল দেখা গিয়েছে। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের ফল সামনে আসতেই কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু মহুয়া মৈত্রকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কারের পর সংসদ চত্বরে কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন দলের সাংসদদের মহুয়ার পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে। যা দেখে কেউ কেউ ভেবেছিলেন মহুয়া ইস্যুতে ফের মজবুত হতে পারে ইন্ডিয়া জোটের ঐক্য। কিন্তু সেই জল্পনায় জল ঢাললেন কংগ্রেস সাংসদ তথা পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। টিভি৯ বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি যা বলেছেন, তাতে ভবিষ্যতে এ রাজ্যে জোটের ভবিষ্যতও প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
টিভি৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অধীর চৌধুরী সাফ জানিয়েছেন, “তৃণমূলের কাছে জোট ধর্ম শেখার কিছু নেই। তৃণমূলকে আমি বিশ্বাসযোগ্য দল বলেই আমি মনে করি না।” সেই সঙ্গে অধীর জানিয়েছেন, বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের লড়াই চলবে। সেই সঙ্গে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে হারাতে তৃণমূল সরকার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন অধীর। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, “কংগ্রেস অত্যাচার রুখেছে। আগামী দিনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই যেমন ছিল, তেমনই থাকবে। তৃণমূল শুধরাবে বলে আমি মনে করি না। প্রতিদিন আমাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। আমাদের ছেলেদের মিথ্যা মামলায় জেলে ঢোকানো হচ্ছে। আগামী দিনে আমাকে এবং কংগ্রেসকে লোকসভা ভোটে হারানোর জন্য সংস্ত রকম পুলিশি প্রস্তুতি এবং সন্ত্রাসের প্রস্তুতি তৃণমূল নেত্রী নিয়ে নিয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে আমার এই চ্যালেঞ্জ আমি উপভোগ করি। আমি তৃণমূলের মোকাবিলা করে, তৃণমূলের সন্ত্রাসকে বাংলা থেকে উৎখাত করার লক্ষ্য নিয়ে রাজনীতি করি।”
অবশ্য অধীরের এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। কুণালের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কুণাল বলেছেন, “পুলিশকে দিয়ে প্রস্তুতির কী আছে। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন ভোট করাবে, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হবে। ও অধীরবাবু কে কেন্দ্রীয় বাহিনী? কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন দিয়ে ভোট হয়ে ২০২১ সালে আপনারা শূন্য আসন পেয়েছিলেন। বহরমপুরের মানুষকে এখন ভয় পাচ্ছেন।”