নয়া দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের আর এক বছরও বাকি নেই। তার আগে কর্নাটক নির্বাচনে সাফল্যের মুখ দেখেছে কংগ্রেস। বিজেপিকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসও বেড়েছে হাত শিবিরের। তবে এই জয়ে নিয়ে আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই, এমনটাই বলছেন কংগ্রেসের বর্ষীয়ান সাংসদ শশী থারুর। তাঁর মতে, এক রাজ্যে সাফল্য এসেছে মানেই জাতীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও যে ছবিটা একই রকম হবে তা নয়। তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ের বিধানসভা নির্বাচনেও জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস। অথচ লোকসভা নির্বাচনে খেতে হয়েছিল বড় ধাক্কা। সুতরাং ভোটারদের ব্যবহারে বদল আসতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সাংসদের কথায়, “এক রাজ্য সাফল্য এসেছে মানে লোকসভা নির্বাচনেও সাফল্য আসবে এমনটা নয়।”
সম্প্রতি সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শশী থারুর বলেছেন, ২০১৮-তে কর্নাটকে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় কংগ্রেস, অথচ লোকসভা নির্বাচনে দেখা গিয়েছিল ওই রাজ্যেই কর্নাটক মাত্র একটি আসন পেয়েছিল। কংগ্রেসের হাতে থাকা সব রাজ্য়েই ভাল ফল করেছি বিজেপি। সাংসদের দাবি, কয়েক মাসের ব্যবধানেই ভোটারদের ব্যবহার বদলে যেতে পারে।
এবার কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ৬৬টি আসন পেয়েছে বিজেপি। ২২৪ আসনের মধ্যে ১৩৫টিই রয়েছে কংগ্রেসের হাতে। শশী থারুরে মতে, স্থানীয় নেতৃত্বের একনিষ্ঠতায় ও স্থানীয় কিছু ইস্য়ু সামনে রেখে লড়াই করার জন্য কংগ্রেস জিততে পেরেছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের বাড়ি কর্নাটকে, ভোটে প্রচার করেছিলেন রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। তবে তিনি মনে করেন, জয় এসেছে স্থানীয় নেতৃত্বের হাত ধরেই।
আর বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্বের প্রচার ততটা জোরাল ছিল না বলেই মনে করেন থারুর। কর্নাটকে কংগ্রেসের জয় বিজেপি বিরোধী দলগুলিকেও অক্সিজেন জুগিয়েছে অনেকটাই। তবে লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে শশী থারুরের এই সতর্কবার্তা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।