২০২২-র স্বাধীনতা দিবসই লক্ষ্য, জোরকদমে শুরু হল সংসদ ভবনের নির্মাণকার্য

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Jan 15, 2021 | 7:31 PM

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টের ১৪ সদস্যের প্যানেল যাবতীয় আবেদন খারিজ করে দিয়ে নির্মাণ কাজে সবুজ সংকেত দিতেই প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়। আজ সেই প্রকল্পেরই কাজ শুরু করল টাটা প্রজেক্টস লিমিটেড।

২০২২-র স্বাধীনতা দিবসই লক্ষ্য, জোরকদমে শুরু হল সংসদ ভবনের নির্মাণকার্য
ফাইল চিত্র।

Follow Us

নয়া দিল্লি: একমাস আগে ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন হয়ে গেলেও সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) আটকে ছিল নির্মাণকার্যের সিদ্ধান্ত। চলতি সপ্তাহের শুরুতে ছাড়পত্র মিলতেই শুরু হল প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের সংসদ ভবনের নির্মাণ কাজ। আপাতত লক্ষ্য একটাই, ২০২২ সালের ১৫ অগস্টের আগেই নির্মাণ কাজ শেষ করা।

আগামি বছরের বাদল অধিবেশন নতুন সংসদ ভবনেই করার ইচ্ছে কেন্দ্রের, তাই তড়িঘড়ি শুরু হল কাজ। শুক্রবার নতুন সংসদ ভবনের কাজ শুরু করে টাটা প্রজেক্টস। গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ১০ তারিখ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) এই নতুন সংসদ ভবনের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে সেন্ট্রাল ভিস্তা প্রকল্প (Central Vista Project)-র বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ায় সুপ্রিম কোর্ট শুনানি না হওয়া অবধি নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।

আরও পড়ুন: ০ ০ ০ ০ ০ ০ ০ ০, এ বারও শূন্য হাতে ফিরলেন কৃষকরা

চলতি সপ্তাহের শুরুতেই সুপ্রিম কোর্টের ১৪ সদস্যের প্যানেল যাবতীয় আবেদন খারিজ করে দিয়ে নির্মাণ কাজে সবুজ সংকেত দিতেই প্রস্তুতি পর্ব শুরু হয়। আজ সেই প্রকল্পেরই কাজ শুরু করল টাটা প্রজেক্টস লিমিটেড। এই বিষয়ে সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট সন্দীপ নাভলাখে বলেন, “কাজ শুরুতে ৩৫ দিন দেরী হলেও দক্ষ কর্মী ও পরিচালন ক্ষমতায় সময়ের আগেই এই প্রকল্পের কাজ শেষ করা হবে।”

৬৪ হাজার ৫০০ বর্গ কিলোমিটারের উপর তৈরি এই সংসদ ভবন কেবল বাইরে থেকেই নতুন নয়, ভিতরটিও সম্পূর্ণভাবে নতুন রূপে সাজিয়ে তোলা হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, স্মার্ট ডিসপ্লে, বায়োমেট্রিক সহ গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস, ডিজিটাল ভাষা অনুবাদক ও রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে। এছাড়াও স্পীকারের নিয়ন্ত্রাণাধীন মাইক্রোফোনের ব্যবস্থাও থাকবে। সংসদ ভবনটি তৈরি করতে খরচ হবে ৯৭০ কোটি টাকা।

সংসদ ভবনের পাশাপাশি একটি সাধারণ সচিবালয়, প্রধানমন্ত্রী নতুন বাসভবন ও দফতর এবং রাজপথ থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন অবধি তিন কিলোমিটার রাস্তা পুনর্গঠন করা হবে। পুরনো সংসদ ভবনটিকে সংস্কার করে রূপান্তরিত করা হবে সংগ্রহশালায়। সবমিলিয়ে এই প্রকল্পে খরচ হবে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন: আগে করোনা টিকা পাবেন তরুণ স্বাস্থ্যকর্মীরা! জানালেন টিকাকরণ আধিকারিক

Next Article