ফের নতুন রেকর্ড সংক্রমণে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪৩ হাজার ৮৪৬ জন। একইসঙ্গে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। একদিনেই ১৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনা সংক্রমণের কারণে। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ কোটি ১৫ লাখ ৯৯ হাজার ১৩০-এ। মৃতের সংখ্যাও বেড়ে ১ লাখ ৫৯ হাজার ৭৫৫-এ পৌঁছেছে। সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দেশে করোনা টিকাকরণেও গতি আনা হয়েছে। এখনও অবধি দেশে মোট ৪ কোটি ৪৬ লাখ ৩ হাজার ৮৪১ জন টিকা নিয়েছেন। দেশের যাবতীয় করোনা আপডেট দেখে নিন একনজরে..
ফের ভয়ঙ্কর হচ্ছে করোনা (COVID-19) পরিস্থিতি। লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। রবিবার স্বাস্থ্য দফতর যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, সেখানে একদিনে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪২২। এ বছর একদিনে আক্রান্তের সংখ্যায় এটাই রেকর্ড। এর মধ্যে কলকাতাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ১৫৮ জন। এরপরই উত্তর ২৪ পরগনা, ৯৮ জন। ঝাড়গ্রাম, কালিম্পং বাদ দিলে মোটামুটি সব জেলাতেই করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। পাশাপাশি এদিন করোনায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের।
বিস্তারিত পড়ুন: রাজ্যে ফের মাথাচাড়া দিচ্ছে করোনা, উদ্বেগ বাড়িয়ে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪০০ পার
করোনা আক্রান্ত হলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তাঁকে দিল্লির এইমস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আপাতত তিনি সুস্থ রয়েছেন বলেই জানানো হয়েছে হাসপাতাল সূত্রে।
করোনা আক্রান্ত হলেন কলকাতার একটি নামী বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের শিক্ষক। এরপরই আগামী ২৯ মার্চ পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিল কর্তৃপক্ষ। সূত্র অনুযায়ী, করোনা আক্রান্ত ওই শিক্ষক প্র্যাক্টিক্য়াল ক্লাস নিতেন। গত শনিবার তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজি়টিভ আসে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে সেই খবর জানাতেই তড়িঘড়ি স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিগত ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই দেশে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যেই বহু রাজ্যে জারি করা হয়েছে নাইট কার্ফু। লকডাউনও জারি হয়েছে একাধিক জেলায়। এবার সংক্রমণ আটকাতে ছত্তিশগঢ়ের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা করল প্রশাসন। এ দিন ছত্তিসগঢ়ের মন্ত্রী রবীন্দ্র চৌবে বলেন, “করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সমস্ত স্কুল, কলেজ ও অঙ্গনওয়াড়ি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।” চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকেই ছত্তিসগঢ়ে নবম, দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য স্কুল খোলা হয়েছিল। তবে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের গণ্ডি পার করতেই অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করে দেওয়া হল।
চলতি বছরের কুম্ভমেলা হতে চলেছে হরিদ্বারে। করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে রাজ্য প্রশাসনের তরফে বেশ কিছু বিধি নিষেধ জারি করা হলেও সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ চিঠি লিখলেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্য সচিবকে। চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় দলের রিপোর্ট অনুযায়ী হরিদ্বারে প্রতিদিনই ১০ থেকে ২০ জন সাধু ও বহু স্থানীয় বাসিন্দা করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। দৈনিক করোনা পরীক্ষার সংখ্যাও যথেষ্ট নয় বলেই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব।
করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামী ৩১ মার্চ অবধি সম্পূর্ণ লকডাউন জারি করা হয়েছে নাগপুরে। তবে এ দিন এমপিএসসি পরীক্ষা থাকায় পরীক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ছাড় দিয়েছে জেলা প্রশাসন। সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রেখেই পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতেই লকডাউন জারি করা হল মধ্য প্রদেশের একাধিক জেলায়। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, সংক্রামণ নিয়ন্ত্রণে প্রতি সপ্তাহের রবিবার সম্পূর্ণ লকডাউন থাকবে ইন্দোর, ভোপাল ও জবলপুরে।
Madhya Pradesh: One-day lockdown imposed in Jabalpur, due to COVID19 surge
The State government has announced that lockdown will be imposed every Sunday in Indore, Bhopal & Jabalpur until further orders pic.twitter.com/7q0IfcBfEv
— ANI (@ANI) March 21, 2021