গান্ধীনগর: মুণ্ডচ্ছেদ করে নিজেদের বলি দিলেন গুজরাটের এক দম্পতি। আত্মবলির জন্য একটি গিলোটিনের মতো বস্তুও বাড়িতে তৈরি করেছিলেন তাঁরা। তারপর নিজেদের জমিতেই প্রকাশ্যে মাথা কাটলেন তাঁরা। কোনও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবেই তাঁরা নিজেরে মুন্ডু কেটে ফেলেন বলে জানা গিয়েছে। গুজরাটের রাজকোট জেলার ভিনছিয়া গ্রামের ঘটনা।
৩৮ বছর বয়সী হেমুভাই মাকওয়ানা ও তাঁর স্ত্রী ৩৫ বছর বয়সী হানসাবেন আত্মবলিদানের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁদের দুই সন্তান রয়েছে। বাবা-মাও জীবিত। তবে তাঁদের সিদ্ধান্ত মতো বাড়িতেই মুন্ডচ্ছেদের একটি যন্ত্র বানান তাঁরা। শুধু মুন্ডচ্ছেদই নয়। তাঁরা এমনভাবে এই মাথা কেটেছেন যাতে তা সামনে রাখা আগুনের মধ্যে পড়ে। বলির আচারের মধ্যেই ছিল এই বিষয়টি। এই বলিদানের বিষয়ে জানা গিয়েছে তাঁদের লেখা একটি সুইসাইড নোট থেকে। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে সাব-ইনস্পেক্টর ইন্দ্রজিৎ সিনহা জাদেজা জানিয়েছেন, “ওই দম্পতি প্রথমে একটি আগুনের বেদী প্রস্তুত করেন। তারপর দড়ি দিয়ে ধরে থাকা গিলোটিনের আদলে তৈরি যন্ত্রের নিচে তাঁদের মাথা রেখেছিলেন। দড়ি ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই একটি লোহার ব্লেড তাঁদের ওপর পড়ে। তারপরই তাঁদের মাথা কেটে যায়। তারপর আগুনে পড়ে যায়।” তাঁদের দেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এদিকে এহেন চরম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটি চিঠিও লিখে গিয়েছেন তাঁরা। ঘটনাস্থল থেকে ওই চিরকুট পেয়েছে পুলিশ। সেই চিঠিতে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের বাবা-মা ও সন্তানদের খেয়াল রাখার আবেদন জানিয়েছেন। তাঁদের আত্মীয়রা জানিয়েছেন, গত বছর ধরে তাঁরা নিজেদের কুঁড়ে ঘরে প্রতিদিন পুজো করতেন। তবে শেষে এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন দম্পতি।