নিউ দিল্লি: একশোয় একশো! ৪ কেন্দ্রীয় শাসিত অঞ্চল ও ৩ রাজ্যে ১০০ শতাংশ সম্পূর্ণ হল করোনা টিকাকরণের প্রথম ডোজ়। গতকাল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডবিয়া(Mansukh Mandaviya) টুইটে লেখেন,”প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ১০০ শতাংশকেই প্রথম টিকা দেওয়ার জন্য অভিনন্দন। ওই সকল এলাকার স্বাস্থ্যকর্মীদের চেষ্টা যথেষ্ট প্রশংসাযোগ্য।”
কোন কোন রাজ্য এই তালিকায় রয়েছে?
তিন রাজ্য যথাক্রমে হিমাচলম প্রদেশ, সিকিম এবং গোয়া, দাদরা ও নগর হাভেলী, লাদাখ, লক্ষদ্বীপ, দমন ও দিউ কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিতে প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার ১০০ শতাংশ করোনার প্রথম ডোজের টিকা পেয়েছেন এমনটাই দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের।
কত পরিমাণ ডোজ় দেওয়া হয়েছে?
দাদরা এবং নগর হাভেলি এবং দমন ও দিউ মিলিয়ে ৬.২৬ লক্ষ ডোজ় দেওয়া হয়েছে
গোয়ার ক্ষেত্রে পরিসংখ্যান বলছে সেইখানে ১১.৮৩ লক্ষ ডোজ় পেয়েছেন জনগণ
হিমাচল প্রদেশের সংখ্যাটা দাঁড়িয়েছে ৫৫.৭৪ লক্ষ
লাদাখে ১.৯৭ লক্ষ ডোজ় পেয়েছে জনগণ
লক্ষদ্বীপের পরিসংখ্যান হল ৫৩ হাজার ৪৯৯
সিকিমে ৫.১০ লক্ষ ডোজ পেয়েছে সাধারণ জনগণ
দেশে গত ১৬ই জানুয়ারি থেকে শুরু হয় করোনা টিকাকরণ। সেই সময় টিকা পেয়েছিলেন শুধুমাত্র প্রথম সারির যোদ্ধারা। এরপর ঘোষণা করা হয় কো-মর্বিডিটি ও ৪৫ উর্দ্ধ প্রত্যেককে দেওয়া হবে কোভিড টিকা। এর বেশ কিছুদিন পর অর্থাৎ মে মাস থেকে শুরু হয় ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ। তবে টিকাকরণের দিক থেকে বিচার করলে গতকালের তুলনায় দৈনিক টিকাকরণের হার কিন্তু অনেকটাই কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৩ লাখ ৩৮ হাজার ৯৪৫ ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে। গতকালের সংখ্যাটা ছিল ৭২ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮৬। মোট ৭৪ কোটি ৩৮ লাখ ৩৭ হাজার ৬৪৩ জন পেয়েছেন টিকা। গতকাল সেই সংখ্যাটা ছিল ৭৩ কোটি ৮২ লাখ ৭ হাজার ৩৭৮ জন।
কিন্তু টিকা নিয়ে এই রাজ্যে কম জলঘোলা হয়নি। টিকা না মেলার কারণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিকবার কেন্দ্রের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিলেন। অভিযোগ, কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ় পাওয়া গেলেও রাজ্য পর্যাপ্ত পরিমাণে মিলছিল না দ্বিতীয় ডোজ়ের টিকা। একই ছবি ছিল কো-ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও। সল্টলেক অঞ্চলের একাধিক হাসপাতালে অমিল ছিল টিকা। পাশাপাশি রাজ্যে বিধিনিষেধ আরোপ থাকায় প্রচুর মানুষ যানবাহন চলাচলের অভাবে পাননি টিকা। জেলার পাশাপাশি কার্যত শূন্য অবস্থায় ছিল কলকাতার বিভিন্ন হাসপাতাল। অনেক কষ্টে যাঁরা টিকা নিতে পৌঁছেছিলেন, তাঁরাও পেলেন না ভ্যাকসিন। কারণ ভ্যাকসিনের ভাঁড়ার শূন্য। কোথাও আবার ঝুলছে তালা।কলকাতার এমআর বাঙুর ও এসএসকেএমের ভ্যাক্সিনেশন সেন্টারগুলিতে ছিল শুধুই শূন্যতা। সমস্যা আরও একটা জায়গাতে। বাড়ি থেকে হাসপাতাল পৌঁছবেন কীভাবে? প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করার সামর্থ্য সকলের নেই। বিধিনিষেধ আরোপ থাকায় শ্লথ গতি ছিল টিকাকরণের।তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে মোট ভ্যাকসিন পেয়েছেন ৪ কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭১ জন।
আরও পড়ুন:UP Election: “সন্ত্রাসবাদের জননী কংগ্রেস” কেন, ব্যখ্যা দিলেন যোগী