UP Election: “সন্ত্রাসবাদের জননী কংগ্রেস” কেন, ব্যখ্যা দিলেন যোগী
UP Assembly Election রবিবার, উত্তর প্রদেশের কুশীনগরে বেশ কিছু উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কংগ্রেসকে (Congress) তীব্র আক্রমণ করেন যোগী আদিত্যনাথ
কুশীনগর: ফের বিতর্কের শিরোনামে উত্তর প্রদেশের (Uttar Pradesh) মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। রবিবার, উত্তর প্রদেশের কুশীনগরে বেশ কিছু উন্নয়ন মূলক প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কংগ্রেসকে (Congress) তীব্র আক্রমণ করেন যোগী আদিত্যনাথ। নিজের বক্তব্যে কংগ্রেসকে ভারতের ‘সন্ত্রাসবাদের জননী’ হিসেবে আখ্যা দেন, যা নিয়ে দানা বেঁধেছে তীব্র রাজনৈতিক বিতর্ক। এর পাশাপাশি তিনি বলেন যাঁরা দেশকে আঘাত করে, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন।কংগ্রেস মাফিয়াদের আশ্রয়দাতা বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ওই অনুষ্ঠানে সমবেত জনতার উদ্দেশে যোগী আদিত্যনাথ প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন ‘দেশে ৩৭০ ধারা (Article 370) কারা লাগু করেছিল?’ জনতার দিক থেকে উত্তর আসে ‘কংগ্রেস’। এর পরেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন ” কংগ্রেস ভারতে সন্ত্রাসবাদের জননী। দেশেকে যাঁরা আঘাত করে তাদের সহ্য করার কোনও প্রয়োজন নেই। রামকে অপমান ও মাফিয়াদের আশ্রয় ছাড়া, কংগ্রেস দেশকে কিছুই দেয়নি। বিজেপি (BJP) সবসময় নাগরিকদের পাশে থেকেছে, বিশ্বের সব থেকে বড় রাম মন্দির (Ram Temple) নির্মাণের পথ সুগম করেছে এবং মাফিয়াদের তাদের উপযুক্ত স্থানে পাঠিয়েছে। তাই বিজেপি থাকলে সবার সম্মান থাকবে ও সকলে সুরক্ষিত থাকবে”।
যোগী আদিত্যনাথ আরও বলেন ” নিজেদের রাজত্বে রোগ ব্যাধি, বেকারত্ব, মাফিয়া রাজ ও দুর্নীতি ছাড়া কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party) ও বহুজন সমাজবাদী পার্টির (Bahujon Samajwadi Party) সরকার উত্তর প্রদেশের জনতাকে কিছুই দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার তোষণের রাজনীতি বন্ধ করেছে। তালিবানি (Taliban) চিন্তাধারা, বংশবাদ ও জাতপাতের রাজনীতিকে রাজ্যের নাগরিকদের বর্জন করা উচিৎ”
এদিন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী নিজের ভাষণে আরও বলেন ” নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) তিন তালাক (Triple talaq) আইন বাতিল করে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু সমাজবাদী পার্টির বেশ কিছু নেতা তালিবানি কার্যকলাপকে সমর্থন করছে। এরা যদি সরকার গঠন করে তবে সেটা উত্তর প্রদেশের জন্য ভয়াবহ হবে। ”
আরও পড়ুন WB Primary Education: কড়া হাইকোর্ট পর্ষদ সভাপতিকে ডাকতেই নিয়োগপত্র পেয়ে গেলেন প্রাথমিকের শিক্ষক
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আগামী বছরই উত্তর প্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন (UP Assembly Election)। তাই এই দিনের মঞ্চকে রাজনৈতিক প্রচারের হাতিয়ার হিসেবেই ব্যবহার করলেন যোগী আদিত্যনাথ। এর পাশাপাশি রাম মন্দির, তিন তালাক ও কংগ্রেসকে সন্ত্রাসবাদীদের সঙ্গে তুলনা করে হিন্দুত্বের তাস খেললেন যোগী।
কংগ্রেস সূত্রের খবর দেশের সব থেকে হাই প্রোফাইল রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে (Priyanka Gandhi) মুখ করেই লড়াইয়ের মাঠে নামতে চাইছে ভারতের শতাব্দী প্রাচীন দলটি। সম্প্রতি কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা সলমন খুরশিদের (Salman Khurshid)বক্তব্য থেকে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে। রাজনৈতিক মহলের মতে অনেকেই প্রিয়ঙ্কার মধ্যে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীকে (Indira Gandhi) খুঁজে পান। তাঁর লড়াকু মনোভাব কংগ্রেসের হারানো জমি পুনরোদ্ধারে সাহায্য করবে, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। এখন যোগীর হিন্দুত্বের মোকাবিলা প্রিয়ঙ্কা কিভাবে করেন সেটাই এখন দেখার।
আরও পড়ুন PM Care fund: বাংলায় তৈরি হবে ৪৯টি অক্সিজেন প্লান্ট, মোদীর জন্মদিনে উদ্যোগ বিজেপির