পরিবার পিছু মাসে কৃষকের আয় ১০ হাজার টাকা! বলছে সরকারই

Farmer Income : ভারতে একটি কৃষক পরিবারের গড় মাসিক আয় ১০ হাজার টাকা। এমনই তথ্য উঠে এসেছে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের ২০১৮-১৯ সালের রিপোর্টে।

পরিবার পিছু মাসে কৃষকের আয় ১০ হাজার টাকা! বলছে সরকারই
আজকের দিনেও মাসে ১০ হাজার টাকায় সংসার চালাতে হয় কৃষকদের
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 13, 2021 | 2:42 PM

নয়াদিল্লি : কৃষকদের জন্য রবি শস্যের উপর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়িয়েছে কেন্দ্র। গম, ছোলা, সরষে… অনেক ফসলেই এখন থেকে বেশি দাম পাবেন কৃষকরা। কিন্তু পরিসংখ্যান বলছে, কৃষকদের অবস্থার খুব একটা উন্নতি হয়নি। অন্তত কেন্দ্রীয় সরকারের রিপোর্ট তো সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। ভারতে একটি কৃষক পরিবারের গড় মাসিক আয় ১০ হাজার টাকা। এমনই তথ্য উঠে এসেছে জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের ২০১৮-১৯ সালের রিপোর্টে।

জাতীয় পরিসংখ্যান দফতরের ওই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, একটি কৃষিজীবী পরিবারের হাতে গড়ে মাসে ১০ হাজার ২১৮ টাকা আসে সর্বসাকুল্যে। তার মধ্যে খেতে মজুরি থেকে আসে ৪ হাজার ৬৩ টাকা। যে ফসল চাষ করা হয়, তার থেকে আয় হয় ৩ হাজার ৭৯৮ টাকা। বাড়িতে থাকা গবাদি পশু থেকে আয় হয় মাসে ১ হাজার ৫৮২ টাকা। চাষ-বাস ছাড়া অন্য কাজ থেকে আসে ৬৪১ টাকা। আর জমি লিজ় দিয়ে আসে ১৩৪ টাকা।

একটি পরিবারে যদি গড়ে চারজনও ধরা হয়, তাহলেও আজকের দিনে দাঁড়িয়ে এই পরিসংখ্যান অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। তথ্য বলছে, এই পরিসংখ্যান আগের থেকে অনেকটা ভাল। তাহলে আগে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ ছিল, তা ভাবলেই গা শিউরে ওঠে। দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের আমলে অর্থাৎ ২০১২-১৩ সালের হিসেব অনুযায়ী, একটি কৃষি নির্ভর পরিবারের গড় আয় ছিল ৬ হাজার ৪২৬ টাকা। অর্থাৎ, এখন তার থেকে ৫৯ শতাংশ বেড়েছে ছয় বছরের ব্যবধানে।

এই ছয় বছরের মধ্যে কৃষি জমি থেকে আয়ের পরিমাণও বেড়েছে অনেকটা। ২০১২-১৩ সালে শুধুমাত্র কৃষি জমি থেকে গড়ে মাসে ২ হাজার ৭১ টাকা আসত একটি কৃষক পরিবারে। আর এখন তা বেড়ে হয়েছে ৪ হাজার ৬৩।

শুধু মাসিক আয়ের ধাক্কাই, নয় আরও একধিক তথ্য উঠে এসেছে সমীক্ষায়। সেখানে দেখা যাচ্ছে কৃষক পরিবারগুলির অর্ধেকেরও বেশি নির্ভর করে ঋণের উপর। ঋণের টাকায় ভর করেই তাঁদের সংসার চলেছে। মোটা টাকার ঋণের দায়ে ডুবে রয়েছে কৃষক পরিবারগুলি। ২০১৯ সালের হিসেব অনুযায়ী, কৃষি নির্ভর পরিবারগুলির গড় ঋণ ৭৮ হাজার ৪৬০ টাকা। আর এই ঋণের ৬৯.৬ শতাংশ নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক, কো-অপারেটিভ থেকে। আর ২০.৫ শতাংশ নেওয়া হয়েছে মহাজনের থেকে।

তবে ২০১৩ সালের তুলনায় ২০১৯ সালে পরিবারপিছু ঋণের বোঝা বেড়েছে  ৫৭.৭ শতাংশ।

উল্লেখ্য, নতুন মরশুমে রবি শস্যের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের পরিমাণ বাড়িয়েছে কেন্দ্র। ২০২১-২২ আর্থিক বছরের জন্য গমের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আগে প্রতি কুইন্টাল গম ১ হাজার ৯৭৫ টাকায় কিনত কেন্দ্র। এখন থেকে তা ২ হাজার ১৫ টাকায় কেনা হবে। অর্থাৎ, প্রতি কুইন্টালে ৪০ টাকা করে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়াচ্ছে কেন্দ্র।

আরও পড়ুন : বাড়ল ন্যূনতম সহায়ক মূল্য! ২ শতাংশ বেশি টাকায় গম কিনবে কেন্দ্র