বাড়ল ন্যূনতম সহায়ক মূল্য! ২ শতাংশ বেশি টাকায় গম কিনবে কেন্দ্র

MSP for Wheat : প্রতি কুইন্টাল গম ১ হাজার ৯৭৫ টাকায় কিনত কেন্দ্র। এখন থেকে তা ২ হাজার ১৫ টাকায় কেনা হবে। অর্থাৎ, প্রতি কুইন্টালে ৪০ টাকা করে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়াচ্ছে কেন্দ্র।

বাড়ল ন্যূনতম সহায়ক মূল্য! ২ শতাংশ বেশি টাকায় গম কিনবে কেন্দ্র
এবার থেকে কুইন্টাল পিছু ৪০ টাকা বেশি দামে গম কিনবে কেন্দ্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 08, 2021 | 7:23 PM

নয়াদিল্লি : নতুন মরশুমে রবি শস্যের জন্য ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের পরিমাণ বাড়াল কেন্দ্র। ২০২১-২২ আর্থিক বছরের জন্য গমের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। আগে প্রতি কুইন্টাল গম ১ হাজার ৯৭৫ টাকায় কিনত কেন্দ্র। এখন থেকে তা ২ হাজার ১৫ টাকায় কেনা হবে। অর্থাৎ, প্রতি কুইন্টালে ৪০ টাকা করে ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়াচ্ছে কেন্দ্র।

অনেক কৃষকই আশঙ্কা করছিলেন, নতুন কৃষি আইনে তাঁরা উৎপাদিত ফসলের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য থেকে বঞ্চিত হতে পারেন। ১০০ দিনেরও বেশি সময় ধরে কৃষক বিক্ষোভ চলছে। বাড়তে থাকা কৃষক অসন্তোষের মধ্যেই এবার কুইন্টাল পিছু রবি শস্যের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র।

কৃষকরা যাতে তাঁদের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিত করতেই ন্যূনতম সহায়ক মূল্য। ফসলের এই ন্যূনতম মূল্য থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কাতে দীর্ঘদিন বিক্ষোভ চলছে। আর এই বিক্ষোভ মূলত ছিল উত্তর পশ্চিম ভারতে। বিশেষ করে পঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকদের মধ্যে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে সবথেকে বেশি। এই পরিস্থিতিতে গমের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোয় কৃষক অসন্তোষের উপর কিছুটা হলেও প্রলেপ পড়বে বলে মনে করেছেন বিশেষজ্ঞরা।

গম ছাড়া বার্লি, ছোলা, মুসুর ডাল, সরষে এবং সূর্যমুখীর উপরও ন্যূনতম সহায়ক মূল্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বার্লির ন্যূনতম সহায়ক মূল্য প্রতি কুইন্টালে ১ হাজার ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ হাজার ৬৩৫ টাকা। কুইন্টাল পিছু ছোলার ন্যূনতম সহায়ক মূল্য ১৩০ টাকা বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫ হাজার ২৩০ টাকা। সূর্যমুখীর দানা প্রতি ১০০ কেজিতে বেড়েছে ১১৪ টাকা।

মুসুর ডাল এবং সরষের উপর ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল পিছু বাড়ানো হয়েছে ৪০০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। ২০২১-২২ আর্থিক বছরের জন্য উভয় ক্ষেত্রে কুইন্টাল পিছু ন্যূনতম সহায়ক মূল্য করা হয়েছে যথাক্রমে ৫ হাজার ৫০০ টাকা এবং ৫ হাজার ৫০ টাকা।

কৃষকদের আশঙ্কা ছিল, নতুন কৃষি আইন চালু হয়ে গেলে ফসলের উপর বেসরকারি সংস্থার অধিকার চলে আসবে এবং তাঁরা ফসলের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হবেন। কেন্দ্রের থেকে একাধিকবার কৃষক নেতাদের আলোচনার জন্য ডাকা হয়েছিল। এমনকী বিক্ষোভ প্রশমনের জন্য আইনে সংশোধন করার প্রস্তাবও দেওযা হয়েছিল। কিন্তু কৃষক নেতাদের বক্তব্য ছিল, আইন সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে।

কেন্দ্রের থেকে বারবার বলা হয়েছে, নতুন কৃষি আইনে কৃষকদের স্বার্থ উপেক্ষিত হবে না। বরং কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করার জন্যই এই তিনটি আইন আনা হয়েছে। এই আইনগুলি চালু হলে, কৃষিক্ষেত্রে মধ্যসত্ত্বাভোগীদের হাত থেকে মুক্তি পাবেন কৃষকরা।

আরও পড়ুন : ব্যারিকেড ভেঙে সরকারি কার্যালয়ের সামনেই তাঁবু! মহাপঞ্চায়েতের নামে পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার কৃষকদের