BSF: কাঁটাতারের কাছে এলেই ‘ছ্যাঁকা’ খাবে BGB, জ্বলবে আগুন, ঘুঁটি সাজিয়ে ফেলল BSF
BSF: এই গোটা অংশে যতটুকু অরক্ষিত এলাকা রয়েছে, সেখানে ফেন্সিং বা কাঁটাতার দেওয়ার জন্য জমি চিহ্নিত করে বাঁশ লাগিয়ে দেওয়া হল। যেখান থেকে কাঁটাতার দেওয়া শুরু হবে এবং যেখানে শেষ হবে সেটা মাপজোক করে এই বাঁশ দিয়ে জমি নির্ধারণ করে দেওয়া হল।
বনগাঁ: গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-র সঙ্গে বিএসএফ-এর সংঘাতের খবর সামনে আসছে বারবার। এমনকী কাঁটাতার দিতে গিয়ে একাধিক অরক্ষিত সীমান্তে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে। বিষয়টি যে যথেষ্ট অস্বস্তির, তা কিছুটা হলেও বুঝতে পারছে বিএসএফের শীর্ষ কর্তারা। তাই তড়িঘড়ি ব্যবস্থা নিল বিএসএফ। বর্ডার আউটপোস্ট পেট্রোপোল সীমান্ত থেকে বর্ডার আউটপোস্ট জয়ন্তীপুর পর্যন্ত নিজেদের কাজ সেরে ফেলল বিএসএফ।
এই গোটা অংশে যতটুকু অরক্ষিত এলাকা রয়েছে, সেখানে ফেন্সিং বা কাঁটাতার দেওয়ার জন্য জমি চিহ্নিত করে বাঁশ লাগিয়ে দেওয়া হল। যেখান থেকে কাঁটাতার দেওয়া শুরু হবে এবং যেখানে শেষ হবে সেটা মাপজোক করে এই বাঁশ দিয়ে জমি নির্ধারণ করে দেওয়া হল।
বিএসএফ সূত্রে খবর, মোট ৩২ কিলোমিটার অংশ রয়েছে এর মধ্যে। যার মধ্যে ১১ কিলোমিটার কাঁটাতার থাকলেও, বাকি ২১ কিলোমিটার অংশে নেই। এখানেই শেষ নয়। কাঁটাতার লাগানোর সময় যাতে কেউ বাধা দিতে না পারে এবং বর্তমানে অস্থায়ী রূপে লাগানো থাকা কাঁটাতার কেউ যাতে কাটতে না পারে, তার জন্য অত্যাধুনিক সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে সীমান্ত জুড়ে।
নির্দিষ্ট অংশ অন্তর অন্তর “ট্রিপ ফ্লেয়ার” নামক একটি যন্ত্র লাগানো হয়েছে। এই যন্ত্রের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, কাঁটাতার যদি কেউ কাটতে আসে বা অবৈধভাবে কেউ ঢুকতে পড়ে, তাহলে তাদের শরীর যন্ত্রে সংযোগকারী তারে লাগলে সঙ্গে সঙ্গে যন্ত্র থেকে আগুন বেরতে শুরু করবে। একইসঙ্গে ব্যাপক আকারে ধোঁয়া বের হবে। তখনই সতর্ক হবেন বিএসএফ জওয়ানরা।
৭০০ মিটার দূরে বাংলাদেশ। রয়েছে গভীর জঙ্গল। কাঁটাতারহীন এলাকা থাকায় সুযোগ নেয় অনুপ্রবেশকারীরা। ঘন জঙ্গলের দিকের অংশে সীমান্তে এক দেড় মাস আগে অস্থায়ী রুপে নয়া কাঁটাতার লাগানো হয়েছে। আধুনিক ফেন্সিং বা কাঁটাতার দেওয়ার কাজ শুরু হলে সেগুলি খুলে ফেলা হবে বলে বিএসএফ সূত্রে খবর।