নয়া দিল্লি: ডিসেম্বরের গোড়া থেকেই দেশে করোনার বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়েছে। দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে তো লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে সংক্রমণ। যার মধ্যে অন্যতম কেরল। বর্তমানে এই রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ছাড়িয়েছে। কেরলেই প্রথম করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতি JN.1 -এর হদিশ মিলেছিল। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক বাড়ছে। শীঘ্রই সংক্রমণ চরম পর্যায়ে পৌঁছবে বলে সতর্কবার্তা দিলেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
দু-বছর আগের মতো ভয়াবহ কোভিড পরিস্থিতি যাতে না হয়, সেজন্য আগাম সতর্কবার্তা দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কেবল ভারত নয়, গোটা বিশ্বে করোনা সংক্রমণ হু-হু করে বাড়ছে। বিশ্বের ৪০টি দেশের পরিসংখ্যান দেখলে বোঝা যাবে, গত একমাসে ৫০ শতাংশ সংক্রমণ বেড়েছে। যার মধ্যে কেবল ভারতে করোনা ভাইরাসের নয়া প্রজাতি JN.1-এ সংক্রমিত হয়েছেন ৬৩ জন। যদিও করোনা ভাইরাসের এই প্রজাতি গুরুতর নয় বলে আশ্বাস দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তবে এটি দ্রুত গতিতে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই উদ্বেগ না করে করোনা-সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। কেননা শীঘ্রই সংক্রমণের হার চরম পর্যায়ে পৌঁছবে বলেও সতর্কবার্তা দিয়েছেন তাঁরা।
কবে করোনা সংক্রমণ চরম পর্যায়ে পৌঁছবে?
সফদরজং হাসপাতালের কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. জুগল কিশোর জানাচ্ছেন, করোনার সংক্রমণ শুরু হওয়ার এক মাস পর সেটা বাড়তে শুরু করে। ফলে ভারতে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে সংক্রমণ চরম আকার নিতে পারে। তবে সংক্রমণ একবার চরমে উঠে যাওয়ার পর আবার কমতে শুরু করে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন ডা. জুগল কিশোর। তিনি জানান, করোনা সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়লেও জানুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত আসতে পারে। এবার দেখা যাক, নতুন বছরে করোনার নতুন ঢেউ কতটা মারাত্মক হয়।
সতর্ক হওয়া জরুরি
বর্তমানে করোনা সংক্রমণের হার অনেকটাই কম। তবে গোষ্ঠী-সংক্রমণ শুরু হলে আক্রান্তের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়তে শুরু করবে। তাই গোষ্ঠী-সংক্রমণ ঠেকাতে কোভিড-বিধি মেনে চলা জরুরি বলে জানাচ্ছেন ডা. জুগল কিশোর। এমনকি, ফ্লু থেকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। কারও সর্দি-কাশি হলে বা কোভিড উপসর্গ দেখা দিলে অবিলম্বে আইসোলেট হওয়া এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলেও জানিয়েছেন ডা. জুগল কিশোর।