নয়া দিল্লি: গাম্বিয়ার ৬৬ জন শিশু মৃত্যুর পরই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে ভারতে উৎপাদিত চারটি কাফ সিরাপকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে কাফ সিরাপের গুণমান নিয়ে প্রশ্ন তুলতেই তদন্ত শুরু করা হয় কেন্দ্রের তরফে। তবে শুরুতেই বাধা পেল তদন্ত। পর্যাপ্ত তথ্য না থাকায় তদন্তে সমস্যা হচ্ছে বলেই জানানো হয়েছে ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার তরফে। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকেও এই বিষয়ে অবগত করা হয়েছে।
শনিবার ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অব ইন্ডিয়ার প্রধান ভিজি সোমানি জানান, গাম্বিয়ার ৬৬ জন শিশুমৃত্য়ুতে ভারতে উৎপাদিত যে চারটি কাফ সিরাপ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে সেই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি। ফলে তদন্তেও সমস্য়া হচ্ছে। জানা গিয়েছে, গত ১৩ অক্টোবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে ডিসিজিআইয়ের কাছে হরিয়ানার ওই কাফ সিরাপ উৎপাদনকারী সংস্থার বিরুদ্ধে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। এর জবাবেই শনিবার ডিসিজিআইয়ের প্রধান ডঃ সোমানি জানান, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে একটি টেকনিক্যাল এক্সপার্ট টিম গঠন করা হয়েছে কাফ সিরাপের নমুনা পরীক্ষা ও পর্যালোচনা করার জন্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফেও যাবতীয় তথ্য পর্যালোচনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
ডঃ সোমানি জানান, কেন্দ্রের তরফে চার সদস্যদের একটি দল গঠন করা হয়েছে। ওই তদন্তকারীর প্রথম বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার পাঠানো রিপোর্ট ও যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখা হয়েছে এবং একাধিক দিক পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য় সংস্থার তরফে গাম্বিয়ার শিশুদের চিকিৎসা ও ওষুধের ক্লিনিক্যাল বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা ওই সংস্থাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য অপর্যাপ্ত।
হরিয়ানার ওই সংস্থার উৎপাদিত কাফ সিরাপ খেয়েই গাম্বিয়ার ৬৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে, এটি নিশ্চিত করতে রোগের প্রাথমিক উপসর্গ, কতদিন অসুস্থ ছিল, ল্যবরেটরির পরীক্ষায় কী তথ্য পাওয়া গিয়েছে, রোগীদের হাসপাতালে ভর্তির আগে ও পরে কী কী চিকিৎসা করা হয়েছে, কিডনিতে ক্ষতির যে কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তা চিকিৎসার আগে ছিল নাকি পরে হয়েছে, চিকিৎসায় কোন ব্রান্ডের ওষুধ ব্য়বহার করা হয়েছিল, ওষুধগুলির উৎপাদনকারী কে, ওষুধের এক্সপায়েরি ডেট সহ একাধিক তথ্য প্রয়োজন বলেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে জানানো হয়েছে ডিসিজিআইয়ের তরফে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এবার কী জবাব দেওয়া হয়, তাই-ই এখন দেখার।