মধুবনী: প্রতিনিয়ত নৃশংসতার নতুন নজির গড়ছে দেশ। উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশের পর এবার বিহারে গণধর্ষণের শিকার হলেন এক কিশোরী। মূক ও বধির ওই কিশোরীকে কেবল ধর্ষণ করেই ক্ষান্ত হয়নি অভিযুক্তরা, যাতে তাঁদের শনাক্ত না করতে পারে, তারজন্য চোখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে অন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টাও করে তাঁরা। পুলিস ইতিমধ্যেই ঘটনায় অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বিহার (Bihar)-র মধুবনী জেলার বাসিন্দা ১৫ বছরের ওই কিশোরী ছোট থেকেই মূক ও বধির (Deaf and Mute)। মঙ্গলবার গ্রামেরই কয়েকজন শিশুর সঙ্গে গ্রামের বাইরে একটি ক্ষেতে ছাগল চরাতে গিয়েছিল সে। সেই সময়ই তাঁকে তিন তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়। অভিযুক্তদের যাতে শনাক্ত না করতে পারে, সেইজন্য তাঁর চোখে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়।
আরও পড়ুন: ভিন ধর্মের বিয়েতে নোটিস দেখানো বাধ্যতামূলক নয়: এলাহাবাদ হাইকোর্ট
ওই কিশোরীর সঙ্গেই আসা একটি ছোট বাচ্চা তাঁকে পরিত্যক্ত একটি জমিতে পড়ে থাকতে দেখে দ্রুত নির্যাতিতার পরিবারকে খবর দেয়। তাঁর পরিবারের সদস্যরা এসে তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়, সেখানের চিকিৎসকরা তাঁকে মধুবনী সদর হাসপাতালে পাঠায়। ওই কিশোরী বর্তমানে সঙ্কটজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছে। তাঁর চোখ দুটি সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গিয়েছে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয় পুলিস অফিসার জানান, মূক ও বধির ওই কিশোরীকে পাশের গ্রামের একটি পরিত্যক্ত জমি থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে এসেছে তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নাকের ডগায় খুন! বিজেপির নিশানায় নীতীশ, উঠছে পদত্যাগের দাবি