ভিন ধর্মের বিয়েতে নোটিস দেখানো বাধ্যতামূলক নয়: এলাহাবাদ হাইকোর্ট

বিচারপতি বিবেক চৌধুরি বলেন, "এবার থেকে দম্পতিরা ম্যারেজ অফিসারকে নোটিস প্রকাশ বা না প্রকাশ করার জন্য লিখিত আবেদন দিতে পারেন।"

ভিন ধর্মের বিয়েতে নোটিস দেখানো বাধ্যতামূলক নয়: এলাহাবাদ হাইকোর্ট
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jan 13, 2021 | 8:08 PM

লখনউ: ভিন ধর্মে বিয়ে (Inter-Faith Marriage) করলে এবার থেকে বাধ্যতামূলকভাবে নোটিস প্রদর্শনের প্রয়োজন পড়বে না, মঙ্গলবার এমনটাই জানাল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad High Court)। আদালতের তরফে জানানো হয়, বাধ্যতামূলকভাবে নোটিস দেখানোর নির্দেশের অর্থ হল ব্যক্তি স্বাধীনতা ও গোপনীয়তার অধিকারে হস্তক্ষেপ করা। এছাড়া এই নোটিস দম্পতির স্বেচ্ছায় বিয়ে করার অধিকারেও প্রভাব ফেলে।

১৯৫৪ সালের বিশেষ বিবাহ আইন (Special Marriage Act) অনুযায়ী, ভিন ধর্মে বিয়ে করার জন্য জেলাশাসকের কাছে বিয়ের ৩০ দিন আগে লিখিত নোটিস জমা দিতে হয় দম্পতিকে। নোটিস দেওয়ার কারণ হিসাবে আইনে বলা হয়েছে, যদি কেউ বয়স, মানসিক স্বাস্থ্য বা নিজেদের ধর্মের রীতি-নীতি অনুযায়ী বিয়েতে আপত্তি জানাতে চায়, সেক্ষেত্রে বিয়ের ৩০ দিনের মধ্যে অভিযোগ জানানো যাবে।

মঙ্গলবার ৪৭ পাতার একটি রায় ঘোষণা করে বিচারপতি বিবেক চৌধুরি বলেন, “এবার থেকে দম্পতিরা ম্যারেজ অফিসারকে নোটিস প্রকাশ বা না প্রকাশ করার জন্য লিখিত আবেদন দিতে পারেন।” আদালতের রায়ে আরও বলা হয়, “যদি দম্পতিরা নোটিস প্রকাশ করার কোনও আবেদন না জানান, তবে ম্যারেজ অফিসার এমন কোনও নোটিস প্রকাশ করবেন না।”

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নাকের ডগায় খুন! বিজেপির নিশানায় নীতীশ, উঠছে পদত্যাগের দাবি

এক মুসলিম মহিলার আর্জির ভিত্তিতে এই রায় ঘোষণা করে এলাহাবাদ আদালত। ওই মহিলার অভিযোগ, এক হিন্দু ব্যক্তিকে বিয়ে করার জন্য স্বেচ্ছায় তিনি মুসলিম থেকে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন। কিন্তু তাঁর বাবা স্বামীর সঙ্গে থাকতে দিচ্ছেন না। মামলার শুনানিতে ওই দম্পতি জানায়, তাঁরা ৩০ দিনের নোটিস দিয়ে বিশেষ বিবাহ আইনের অধীনে বিয়ে করতেই পারতেন, কিন্তু তাতে গোপনীয়তা রক্ষা হত না এবং তাঁদের উপর অহেতুক চাপ সৃষ্টি করা হত বা নিজেদের পছন্দে হস্তক্ষেপ করা হত।

অভিযোগকারী মহিলার আইনজীবী জানান, উত্তর প্রদেশের ধর্মান্তকরণ বিরোধী আইন ২০২০ (Prohibition of Unlawful Conversion of Religion Ordinance, 2020)-র ফলে পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে গিয়েছে। এরপরই এলাহাবাদ হাইকোর্ট এই রায় ঘোষণা করে। এর আগে দিল্লি হাইকোর্টও কেন্দ্র ও আপ সরকারের কাছে ভিন ধর্মে বিবাহ ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ কিনা, সে সম্পর্কে জানতে চায়।

আরও পড়ুন: ৪৫ হাজার কোটি টাকায় ৮৩টি তেজাস কিনছে কেন্দ্র