Delhi blast case: ‘বিরিয়ানি’ আর ‘দাওয়াত’-এ লুকিয়ে রহস্য, উমরদের কোড শব্দের মানে কী?
Codes used by white collar terror module: দিল্লিতে গাড়িতে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত চার ডাক্তার মুজাম্মিল শাকিল, উমর নবি, শাহিন শাহিদ এবং আদিল আহমেদ রাথের কোড শব্দ ব্যবহার করতেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই চার ডাক্তার টেলিগ্রামে নিজেদের প্রিয় খাবার নিয়ে আলোচনা করতেন। এতে অন্য কারও সন্দেহ হত না। বাস্তবে ওই শব্দগুলির সঙ্গে খাওয়ার কোনও সম্পর্কই ছিল না।

নয়াদিল্লি: বিরিয়ানির কথা বললেই জিভে জল আসে খাদ্যরসিকদের। আর বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য কেউ যদি ‘দাওয়াত’ (আমন্ত্রণ) জানান, তাহলে তো কথাই নেই। কিন্তু, যদি এই ‘বিরিয়ানি’ আর ‘দাওয়াতের’ মধ্যে লুকিয়ে থাকে হামলার পরিকল্পনা? ভাবছেন এমন হয় নাকি। সাদামাটা বিরিয়ানি আর দাওয়াত শব্দের মধ্যে কী এমন গূঢ় রহস্য থাকতে পারে? রয়েছে। দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে গাড়ি বিস্ফোরণের তদন্তে নেমে এই ‘বিরিয়ানি’ আর ‘দাওয়াত’ শব্দের মধ্যে বিস্ফোরক ছকের খোঁজ পেলেন তদন্তকারীরা।
গত ১০ নভেম্বর লালকেল্লার সামনে i20 গাড়িতে বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন ২০ জনের বেশি। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ডাক্তার উমর নবি। গাড়ি বিস্ফোরণের পর একের পর এক ডাক্তারের নাম সামনে এসেছে। তদন্ত যত এগিয়েছে হোয়াইট কলার টেরর মডিউলের খোঁজ পায় পুলিশ। আর সেখান থেকেই জানা যায়, হোয়াইট কলার টেরর মডিউলের কোড শব্দের গূঢ় অর্থ।
দিল্লিতে গাড়িতে বিস্ফোরণে অভিযুক্ত চার ডাক্তার মুজাম্মিল শাকিল, উমর নবি, শাহিন শাহিদ এবং আদিল আহমেদ রাথের কোড শব্দ ব্যবহার করতেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, এই চার ডাক্তার টেলিগ্রামে নিজেদের প্রিয় খাবার নিয়ে আলোচনা করতেন। এতে অন্য কারও সন্দেহ হত না। বাস্তবে ওই শব্দগুলির সঙ্গে খাওয়ার কোনও সম্পর্কই ছিল না।
সূত্রের খবর, এই চার ডাক্তার নিজেদের মধ্যে টেলিগ্রাম অ্যাপে বিরিয়ানি ও দাওয়াত শব্দ লিখেছেন। এই দুটি শব্দের কী অর্থ ছিল তাঁদের কাছে? তদন্তকারী সূত্রে খবর, বিরিয়ানি শব্দ বলতে বিস্ফোরক পদার্থকে বুঝিয়েছেন উমররা। আর দাওয়াত শব্দের অর্থ নির্দিষ্ট কোনও ঘটনা। তদন্তকারীরা জানিয়েছে, বিস্ফোরক পদার্থ জনবহুল এলাকায় বিস্ফোরণের জন্য প্রস্তুত হওয়ার পর এই চারজন টেলিগ্রামে বার্তা পাঠিয়েছিলেন। সেখানে লেখা ছিল, ‘বিরিয়ানি প্রস্তুত। এখন দাওয়াতের জন্য প্রস্তুত হতে হবে।’ এই হোয়াইট কলার টেরর মডিউলের মাস্টারমাইন্ডের নাম ইমাম ইরফান আহমেদ। জম্মু ও কাশ্মীরের শোপিয়ানের বাসিন্দা তিনি। ডাক্তারদের সন্ত্রাসবাদের পথে তিনিই টেনে আনেন।
