নয়া দিল্লি: দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি দেশের সর্বোত্তম হাসপাতাল এইমস (AIIMS)-এ চিকিৎসা শুরু করালেও শেষরক্ষা হয়নি। ব্রেন ডেথ হয়ে যায় ৬ বছরের বালকটির। তবে বালকটি নিজে না বাঁচলেও নতুন জীবন দিল ২ শিশুকে। নাবালকের দুটি অঙ্গ দানের ফলে নতুন জীবন পেল দুই শিশু। নাবালকের ব্রেন ডেথ (Brain death) থেকে অন্য দুই শিশুকে অঙ্গদান- পুরো ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লির এইমস-এ। এই নিয়ে গত একবছরে এই হাসপাতালে ১ বছর থেকে ৬ বছর বয়সি মোট ৫টি শিশুর অঙ্গদান হল।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১৫ এপ্রিল মোটরবাইক থেকে পড়ে গিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছিল ৬ বছরের বালকটি। সেদিনই দিল্লি এইমস-এর ট্রমা কেয়ারে অচৈতন্য অবস্থায় ভর্তি হয় নাবালকটি। তারপর বহু চিকিৎসা করেও তার জ্ঞান ফেরানো যায়নি। একাধিক পরীক্ষার পর হাসপাতালের চিকিৎসকেরা জানান, শিশুটির ব্রেন ডেথ হয়েছে। ব্রেন ডেথ হলেও নাবালকের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ভাল রয়েছে। তাই বালকটি আর চোখ না খুললেও তার অঙ্গ দিয়ে অন্য শিশুরা নতুন জীবন পেতে পারে। হাসপাতালের চিকিৎসকেরা একথা বোঝান নাবালকের পরিবারকে। অবশেষে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে নাবালকের অঙ্গ দানে সম্মত হন নাবালকের পরিবার। তারপর এইমস-এর জেপিএন অ্যাপেক্স ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ও আইএলবিএস হাসপাতালে দুই শিশুর দেহে নাবালকের দুটি অঙ্গ সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয়।
দিল্লি এইমস-এর ডা. দীপক গুপ্তা জানান, ৬ বছর বয়সি নাবালকের ব্রেন ডেথের পর তার কিডনি ও লিভার দুই শিশুর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়। দিল্লি এইমসে এক শিশুর দেহে কিডনি এবং আইএলবিএস হাসপাতালে ১৬ বছর বয়সি বালকের দেহে লিভার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া নাবালকের দুটি কর্ণিয়াও আর.পি সেন্টার আই ব্যাঙ্কে সংরক্ষিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডা. গুপ্তা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের এপ্রিল থেকে এখনও পর্যন্ত দিল্লি এইমসে মোট ১৯ জনের মৃত্যুর পর অঙ্গ অন্যের দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। যার মধ্যে ১ বছর থেকে ৬ বছর বয়সি মোট ৫টি শিশুর অঙ্গদান করা হয়েছে। শিশুদের ব্রেন ডেথের পর অঙ্গদান করা বেশ চ্যালেঞ্জিং বলে জানিয়েছেন এইমস-এর ডা. দীপক গুপ্তা।