নয়া দিল্লি: রাজধানীর দূষণ-পরিস্থিতি (Delhi pollution) গুরুতর। পরিস্থিতি সামাল দিতে শুক্রবার দিল্লির উপ-রাজ্যপাল ভি.কে সাক্সেনার সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ও পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই। দূষণ ঠেকাতে কী কী পদক্ষেপ করা জরুরি, কোন পদক্ষেপ করলে দূষণ নিয়ন্ত্রণে আসবে, তা নিয়ে দুজনের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা হয়। তারপরই দূষণ ঠেকাতে বিশেষ কয়েকটি পদক্ষেপের উপর জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
কেজরীবাল সরকার-উপ রাজ্যপাল বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত
১) সমস্ত সরকারি দফতর, এজেন্সিকে নির্বিশেষে দূষণ-রোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং দূষণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২) শিশু ও বয়স্কদের প্রতি বিশেষ যত্ন নেওয়া, বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না বেরোনোর ব্যাপাকে নির্দেশিকা জারি করবে পরিবেশ দফতর।
৩) দিল্লিবাসীকে যতটা সম্ভব বাড়ির মধ্যে থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া কোথাও যেতে বারণ করা হচ্ছে এবং বেরোতে হলেও নিজের গাড়ির বদলে গণপরিবহণ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ যতটা সম্ভব দূষণ কম করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৪) বায়ুদূষণ মোকাবিলায় গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (GRAP) সংক্রান্ত কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট ব্যবস্থা কঠোরভাবে বাস্তবায়িত করার কথা বলা হয়েছে।
৫) সমস্ত যান্ত্রিক রাস্তার ঝাড়ুদার, জল ছিটানো এবং ধোঁয়া-বিরোধী বন্দুকগুলি (স্ট্যাটিক, মোবাইল এবং যেগুলি বেশি উচ্চতায়) সর্বোত্তমভাবে ব্যবহার করা উচিত, এমনকি প্রয়োজনে ডবল শিফটে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
৬) সীমানাবর্তী এলাকা, বিশেষত পঞ্জাব-সংলগ্ন বাসিন্দাদের কোনভাবে বিনিময়েও ফসল না পোড়ানোর কথা বলা হয়েছে।
এদিন উপ-রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর পরিবেশমন্ত্রী গোপাল রাই জানান, দূষণ-রোধে সমস্ত সিনিয়ার আধিকারিকদের ‘সক্রিয়’ ভূমিকা নেওয়ার জন্য উপ-রাজ্যপালের কাছে তিনি আবেদন জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দিল্লির বায়ুর গুণগত মান (AQI)পৌঁছে গিয়েছে ৪৫০-এ। যা ‘গুরুতর’। পরিস্থিতি সামাল দিতে বৃহস্পতিবারই রাজধানীর সমস্ত প্রাথমিক স্কুলের ক্লাস অনলাইনে করার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। গাড়ি চলাচলের উপরেও বিধি-নিষেধ জারি করেছেন।