Arvind Kejriwal: মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেই ঢুকতে পারবেন না কেজরীবাল! জামিনে আর কী কী শর্ত রাখল সুপ্রিম কোর্ট?

Arvind Kejriwal Gets Bail: আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলার বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় ধরে চলবে, সেই কারণেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জামিন দেওয়া হয়েছে। কেজরীবালকে জামিন দিলেও, তার গ্রেফতারি বৈধ বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

Arvind Kejriwal: মুখ্যমন্ত্রীর দফতরেই ঢুকতে পারবেন না কেজরীবাল! জামিনে আর কী কী শর্ত রাখল সুপ্রিম কোর্ট?
অরবিন্দ কেজরীবাল।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Sep 13, 2024 | 12:52 PM

নয়া দিল্লি: অবশেষে জামিন পেলেন কেজরীবাল (Arvind Kejriwal)। আবগারি নীতি দুর্নীতি (Delhi Liquor Policy) মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আজ জামিন দিল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে। ১ এপ্রিল থেকে জেলে ছিলেন আপ সুপ্রিমো। লোকসভা নির্বাচনের সময় কিছুদিনের জামিন পেয়েছিলেন বটে, কিন্তু আবার ফিরতে হয়েছিল জেলে। এবার সুপ্রিম সম্মতিতে জেল থেকে বেরনোর অনুমতি পেলেন কেজরীবাল। তবে তার জন্য রাখা হয়েছে একাধিক শর্ত।

আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলার বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘ সময় ধরে চলবে, সেই কারণেই দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে জামিন দেওয়া হয়েছে। কেজরীবালকে জামিন দিলেও, তার গ্রেফতারি বৈধ বলেই জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর জামিনের ক্ষেত্রে একাধিক শর্তও রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। এগুলি হল-

  •  ১০ লক্ষ টাকার জামিন বন্ড জমা দিতে হবে অরবিন্দ কেজরীবালকে।
  •  দিল্লি আবগারি নীতি দুর্নীতির বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারবেন না কেজরীবাল।
  •  প্রতিটি শুনানিতে হাজিরা দিতে হবে কেজরীবালকে। আদালত যদি অনুমতি দেয়, তবেই শুনানির সময় হাজিরা এড়াতে পারবেন কেজরীবাল।
  •  দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী পদে থাকলেও, মুখ্যমন্ত্রীর অফিস  বা দিল্লি সেক্রেটারিয়েটে প্রবেশ করতে পারবেন না কেজরীবাল।
  •  কোনও সরকারি নথি বা কাগজে সই করতে পারবেন না দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, ২০২১-২২ সালের আবগারি নীতি নিয়েই ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ। দিল্লির তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গভর্নর ভিকে সাক্সেনাই প্রথম আবগারি নীতিতে দুর্নীতির অভিযোগ এনে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন। সিবিআই এবং ইডি- দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই এই মামলার তদন্ত করছে। গত ২১ মার্চ প্রথম ইডি গ্রেফতার করে দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো কেজরীবালকে। পরে সিবিআইও দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করে। অভিযোগ, আবগারি নীতি নিয়ে দুর্নীতি করে ১০০ কোটি টাকা হাতিয়েছিল আম আদমি পার্টি। গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে সেই টাকা ব্যবহার করা হচ্ছিল।