Arvind Kejriwal: বড় স্বস্তি, অন্তর্বর্তী জামিন পেলেন কেজরীবাল
Arvind Kejriwal: দিল্লির আবগারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল অরবিন্দ কেজরীবালকে। তিহাড় জেলে যান তিনি।
নয়া দিল্লি: লোকসভা নির্বাচনের মাঝে স্বস্তি পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। আবগারি মামলায় অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হল আপ সুপ্রিমোকে। শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টে ছিল মামলার শুনানি। আগামী ১ জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের বেঞ্চ।
ভোটের প্রচারে যাতে কেজরীবাল যোগ দিতে পারেন, তার জন্য জামিন দেওয়ার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। আগামী ১ জুন লোকসভা নির্বাচনের শেষ দফার ভোটগ্রহণ হবে। ওই দিন পর্যন্ত জামিন দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এর ঠিক পরের দিন অর্থাৎ ২ জুন ফের আত্মসমর্পণ করতে হবে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে।
গত ২১ মার্চ আবগারি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল কেজরীকে। তাঁর তরফে বর্ষীয়ান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি আর্জি জানিয়েছিলেন যাতে ৪ জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়। কিন্তু সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
আইনজীবী শাদান ফারাসত জানিয়েছেন, জামিনে থাকাকালীন কেজরীবাল কী বলবেন না বলবেন, তা নিয়ে কোনও বিশেষ নির্দেশ দেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। আগামিকাল, শনিবার সকাল থেকে তিনি যাতে প্রচারের কাজ শুরু করতে পারে, সেই সাংগঠনিক প্রস্তুতি শুরু করল আপ।
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা এদিন আর্জি জানান, এই মামলা সংক্রান্ত কোনও মন্তব্য যাতে কেজরীবাল সংবাদমাধ্যমের সামনে না করেন, সেটা নির্দেশনামায় উল্লেখ করতে হবে।
২৯ এপ্রিল থেকে এই মামলার শুনানি শুরু হয় শীর্ষ আদালতে। ৩ মে পর্যন্ত চলে শুনানি। বারবার গ্রেফতারির সময় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন অভিষেক মনু সিংভি। তিনি যুক্তি দিয়েছিলেন, ভোটের সময় দলের সুপ্রিমো জেলে থাকলে দল বঞ্চিত হয়। নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে তাঁকে সরিয়ে রেখে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছিলেন আইনজীবী।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ে খুশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স মাধ্যমে পোস্ট করে রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।
I am very happy to see that Shri Arvind Kejriwal @ArvindKejriwal has got interim bail. It will be very helpful in the context of the current elections.
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 10, 2024
অন্যদিকে, বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, এই রায়ে রাজনীতিতে কোনও প্রভাব পড়বে না।