নয়া দিল্লি: আবগারি নীতি দুর্নীতি নিয়ে ক্রমশ্যই অস্বস্তি বেড়ে চলেছে দিল্লির শাসক দল আম আদমি পার্টির। আবগারি নীতি দুর্নীতির অন্যতম চক্রী হিসাবে আগেই নাম জড়িয়েছিল দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার নাম। এবার সেই দুর্নীতি মামলায় নাম জড়াল দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরীবালেরও। শুক্রবার আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলায় তদন্তের জন্য দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবালকে তলব করে সিবিআই। আজ, রবিবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা কেজরীবালের। এদিকে, দলের সুপ্রিমোকে তলব করায় বিক্ষোভে পথে নামতে পারে আম আদমি পার্টি, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। সেই কারণে সকাল থেকেই দিল্লির বিভিন্ন জায়গায় কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, আজ সকাল ১১টায় মধ্য় দিল্লির লোধী রোডে অবস্থিত সিবিআইয়ের সদর দফতরে যাবেন মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। তাঁর সঙ্গে সিবিআই দফতরে যাবেন আপ নেতা তথা পঞ্জাবের মুখ্য়মন্ত্রী ভগবন্ত সিং মানও। এছাড়াও একাধিক আপ সাংসদ ও মন্ত্রীরা কেজরীবালকে সমর্থন জানাতে সিবিআই দফতর অবধি যেতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে আম আদমি পার্টির সমর্থকেরা বিক্ষোভ দেখাতে পারেন, এই আশঙ্কায় শনিবার রাত থেকেই সিবিআই সদর দফতরের বাইরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে দিল্লি পুলিশ। ব্যারিকেড দিয়ে গোটা এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে।
দিল্লির আবগারি নীতি দুর্নীতি মামলাতেই তলব করা হয়েছে কেজরীবালকে। তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, অভিযুক্ত হিসাবে নয়, সাক্ষী হিসাবেই তলব করা হয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে। দিল্লির আবগারি নীতি তৈরির পিছনে কারণ ও ‘সাউথ লবি’ নিয়েই কেজরীবালকে প্রশ্ন করা হবে বলে সূত্রের খবর।
উল্লেখ্য, দিল্লির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নরের নির্দেশেই আবগারি নীতি নিয়ে দু্র্নীতির তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। বর্তমানে ইডি ও সিবিআই- দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাই একসঙ্গে তদন্ত করছে এই দুর্নীতির। ইডির দাবি, দিল্লি সরকার এই নতুন আবগারি নীতি তৈরি করেছিল নির্দিষ্ট এক পক্ষের মদ ব্যবসায়ীদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্যই। এই দুর্নীতির জাল দক্ষিণ ভারত অবধি ছড়িয়েছিল। সম্প্রতিই এই মামলায় তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের মেয়ে কে কবিতাকেও জেরা করা হয়।