নয়া দিল্লি: বড়সড় বিপাকে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেট দলের সদস্য এবং পূর্ব দিল্লির বিজেপি সাংসদ গৌতম গম্ভীর (Gautam Gambhir)। সরকারি জমিতে বেআইনি নির্মাণের জন্য দিল্লির একটি আদালত গৌতমকে সমন পাঠিয়েছে। সরকারি জমিতে বেআইনি ভাবে গ্রন্থগার নির্মাণের জন্য ১৩ ডিসেম্বর গৌতমতে আদালতের সামনে হাজির হতে বলা হয়েছে। কারকড়ডুমা আদালতের কাছে প্রিয়া এনক্লেভে একটি ডাম্পিং ইয়ার্ডের জন্য দিল্লি মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের একটি জমিতে অবৈধভাবে লাইব্রেরি নির্মাণের অভিযোগে দায়ের করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই বিজেপি সাংসদকে তলব করা হয়েছে।
আদালতে গৌতমের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, পুরসভার এক আধিকারিককে প্রভাবিত করে ডাম্পিং ইয়ার্ড তৈরির জন্য বরাদ্দ জমি হাতিয়ে নিয়ে সেখানে জোর খাটিয়ে গ্রন্থাগার তৈরি করা হয়েছে। বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে যে জমি হাতানোর অভিযোগ উঠেছে তার পরিমাণ ৩০০ গজ। এই পরিমাণ জমির আনুমানিক বাজারমূল্য কয়েক কোটি টাকা।
কারকড়ডুমা আদলতের অতিরিক্ত নগর দায়রা বিচারক হিমাংশু রমণ সিং সোমবার গৌতম গম্ভীরের নামে সমন জারি করেছেন। তাঁকে ১৩ নভেম্বর আদালতের সামনে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গৌতমের বিরুদ্ধে আবেদনকারী দুই আইনজীবী রবি ভার্গভ এবং রোহিত কুমার মাহিয়া গৌতম গম্ভীর ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন দিল্লির বিরুদ্ধে দেওয়ানি মামলা দায়ের করেছিলেন। গৌতম যেন সেই অবৈধ নির্মাণ ব্যবহার না করতে পারে সেই মর্মে আদালতের কাছে আবেদন করা হয়েছে। আবেদনকারীরা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৯১ সি ধারায় মামলাটিকে বিবেচনা করার আবেদন জানিয়েছে। শুনানির পরই আদালত গৌতমকে নোটিস পাঠিয়েছে।
মামলার আবেদনে দাবি করা হয়েছে পুরসভা আধিকারিকদের সঙ্গে যোগসাজশের করে অনুমোদন ছাড়াই ওখানে একটি গ্রন্থাগার তৈরি করা হয়েছে, যা আগে ডাম্পিং ইয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা হত। কোনও অনুমতি ছাড়াই ওই জমি হস্তান্তর করেছেন গম্ভীর, এমনটাই অভিযোগ আবেদনকারীদের। আবেদনের সঙ্গে স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক অনিল বর্মা এবং দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নরকে লেখা চিঠির প্রতিলিপিও দিয়েছেন আবেদনকারীরা। এই ঘটনা বিজেপি সাংসদ গৌতমের জন্য নিঃসন্দেহে অস্বস্তির। তিনি এখন কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন, সেটাই এখন দেখার।