নয়া দিল্লি: ইতিমধ্যেই কলকাতার ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগে রেখেছে। এরইমধ্যে রাজধানী দিল্লিতেও ডেঙ্গি পরিস্থিতি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। ইতিমধ্যেই দিল্লির মিউনিসিপাল কর্পোরেশন (MCD) ২৫০টি জায়গাকে ডেঙ্গির হটস্পট হিসাবে ঘোষণা করেছে। এরপরই একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ঘরে ঘরে যাবেন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা।
মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের একজন আধিকারিক জানান, ‘যে এলাকাগুলি চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলি সংক্রমণপ্রবণ। আমরা বিশেষভাবে সেই এলাকাগুলিতে নজর রাখছি। কীটনাশক স্প্রে করা হচ্ছে। ফিল্ড ওয়ার্কাররা দোরে দোরে ঘুরে কীটনাশক দেবে। কোথাও জল জমা থাকলেও তা চিহ্নিত করা হবে।’ সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে দিল্লিতে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন ৪১২ জন। গত সপ্তাহে শহরে ৬৩৮ টি ডেঙ্গি কেস রেকর্ড হয়েছে। তবে মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের তথ্য বলছে, এখনও অবধি মৃত্যুর খবর নেই। এটাই রক্ষে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গি পরিস্থিতি সবথেকে উদ্বেগের ছিল দিল্লিতে। পাঁচ বছর আগে সেপ্টেম্বরে দিল্লি এমন ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত দেখেছে। ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ১৫২। পুরনিগমের চিন্তা, ফের বৃষ্টি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে আপাতত বৃষ্টি চলবে।
শুক্রবারের পর শনিবারও বৃষ্টি হয়েছে দিল্লিতে। আগামী সপ্তাহেও বৃষ্টির সতর্কতা আছে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহ থেকেই দিল্লিতে বৃষ্টির দাপট লক্ষ্য করা গেছে। বিভিন্ন জায়গায় জল জমে মানুষের যাতায়াতে সমস্যা তো হয়েছেই। একইসঙ্গে মশাবাহিত রোগও বেড়েছে। সবথেকে বেশি ডেঙ্গি সংক্রমণ দিল্লির সেন্ট্রাল জ়োনে। এরপরই রয়েছে ওয়েস্ট জ়োন ও সাউথ জ়োন। কেশবপুরম, করোলবাগ, রোহিনী, নরেলা, নজফগঢ় নজরে পুর কর্তৃপক্ষের।