নয়া দিল্লি: সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামাল দিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে রাজধানী। এদিকে তৃতীয় ঢেউয়ের চোখ রাঙানিও রয়েছে। তাই আগাম মোকাবিলা পরিকল্পনা সেরে রাখছে অরবিন্দ কেজরীবালের সরকার। রবিবারই ‘গ্রেডেড অ্যাকশন প্ল্যান’ (GAP)-এর কথা ঘোষণা করা হয়েছে দিল্লি সরকারের তরফে। দেশের মধ্যে দিল্লিই প্রথম শহর যেখানে এ ধরনের পরিকল্পনা নেওয়া হল।
মূলত এই গ্রেডেড অ্যাকশন প্ল্যান হল চার পর্যায়ের অ্যালার্ট। যে রকম পরিস্থিতি হবে সেই মতো অ্যালার্টেরও ধাপ হবে। সেই ধাপ বোঝাতে ব্যবহার করা হবে চারটি রং। প্রথমেই রয়েছে হলুদ। দিল্লিতে পরপর দু’দিন পজিটিভিটি রেট যদি ০.৫-এর উপরে উঠে যায় কিংবা সপ্তাহে ১৫০০ নতুন সংক্রমণের খবর আসে বা সপ্তাহে ৫০০টি অক্সিজেন বেডের প্রয়োজন হয় তা হলেই হলুদ সতর্কতা জারি হবে। নানা বিধি নিষেধও মানতে হবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে জারি হবে অ্যাম্বার সতর্কতা। পর পর দু’দিন পজিটিভিটি রেট ১ শতাংশ থাকলে কিংবা সপ্তাহে ৩,৫০০ নতুন আক্রান্ত হলে বা সপ্তাহে ৭০০টি অক্সিজেন বেড ভর্তি থাকলে নাইট কার্ফুর সঙ্গে জারি হবে সপ্তাহান্তের কার্ফুও। আরও অন্যান্য বিধি নিষেধ তো থাকবেই।
তৃতীয় পর্যায়ে থাকবে কমলা সতর্কতা। শহরের পজিটিভিটি রেড পর পর দু’দিন ২ শতাংশ হলে বা সপ্তাহে ৯ হাজার পজিটিভ কেস সামনে এলে কিংবা ১ হাজার অক্সিজেন বেড ভর্তি থাকলেও এই পর্যায়ের সতর্কতা মানতে হবে রাজধানীবাসীকে। এ ক্ষেত্রে মেট্রো চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। সঙ্গে মানতে হবে অন্যান্য নিয়ম।
চতুর্থ পর্যায়ে থাকবে লাল সতর্কতা। পর পর দু’দিন দিল্লিতে পজিটিভিটি রেট ৫ শতাংশ হলে কিংবা সপ্তাহে ১৬ হাজার আক্রান্তের সংখ্যা হলে বা ৩ হাজার অক্সিজেন বেড ভর্তি থাকলেই জারি হবে লাল সতর্কতা। শহরজুড়ে তখন পুরোপুরি কার্ফু জারি হবে। একেবারে কড়া লকডাউন তখন। আরও পড়ুন: পাশের ঘরেই ছিল মা, টেরও পায়নি! ছেলে তখন ফেসবুক লাইভ করে জানাচ্ছে ‘আমি চললাম, পারলে ক্ষমা কোরো’