বিতর্কিত তথ্যচিত্রের প্রেক্ষিতে মানহানির মামলায় BBC-কে সমন দিল্লি হাইকোর্টের

Delhi High Court summons BBC: গুজরাট দাঙ্গার বিষয়ে বিতর্কিত তথ্যচিত্রের প্রেক্ষিতে এক মানহানির মামলায় ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বা বিবিসিকে সমন পাঠালো দিল্লি হাইকোর্ট। 'জাস্টিস অন ট্রায়াল' নামে গুজরাটের এক এনজিও বিবিসির বিরুদ্ধে এই মানহানির মামলাটি করেছে।

বিতর্কিত তথ্যচিত্রের প্রেক্ষিতে মানহানির মামলায় BBC-কে সমন দিল্লি হাইকোর্টের
বিবিসির জবাব তলব করল দিল্লি হাইকোর্ট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 22, 2023 | 4:08 PM

নয়া দিল্লি: গুজরাট দাঙ্গার বিষয়ে বিতর্কিত তথ্যচিত্রের প্রেক্ষিতে এক মানহানির মামলায় ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কোম্পানি বা বিবিসিকে সমন পাঠালো দিল্লি হাইকোর্ট। ‘জাস্টিস অন ট্রায়াল’ নামে গুজরাটের এক এনজিও বিবিসির বিরুদ্ধে এই মানহানির মামলাটি করেছে। তাদের দাবি, গুজরাট দাঙ্গার উপর বিবিসির তৈরি বিতর্কিত তথ্যচিত্রটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, ভারত এবং ভারতীয় বিচার ব্যবস্থার মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিবিসি (ইউকে) এবং বিবিসি (ইন্ডিয়া) ইভয় পক্ষেরই জবাব চাওয়া হয়েছে। বিচারপতি সচিন দত্ত বলেছেন, “ডকুমেন্টারিটি মানহানিকর এবং দেশ ও বিচার বিভাগ এবং প্রধানমন্ত্রীর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছে বলে দাবি করা হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে উত্তরদাতাদের নোটিস পাঠানো হচ্ছে।”

‘জাস্টিস অন ট্রায়াল’ এনজিওটির পক্ষ থেকে এদিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী হরিশ সালভে। তিনি জানান, বিবিসির তথ্যচিত্রটিতে ভারত এবং বিচার বিভাগ-সহ দেশের সমগ্র ব্যবস্থার ‘মানহানি’ করা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ডকুমেন্টারিটিতে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও মানহানিকর ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ডকুমেন্টারিটি মানহানিকর অভিযোগ তুলেছে এবং দেশের সুনাম নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিবিসি (ইন্ডিয়া) এবং বিবিসি (ইউকে) – বিবিসির দুই শাখার বিরুদ্ধেই অভিযোগ করা হয়েছে। আবেদনে বলা হয়েছে, বিবিসি (ইন্ডিয়া) হল বিবিসির স্থানীয় অপারেশনাল অফিস আব বিবিসি (ইউকে)-র পক্ষ থেকে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’ নামে বিতর্কিত দুই পর্বের তথ্যচিত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে। তাই এর দায় সংস্থার দুই শাখাকেই নিতে হবে।

এর আগে ৩ মে, দিল্লির এক নিম্ন আদালত এই ডকুমেন্টারির প্রেক্ষিতে হওয়া এক ফৌজদারি মামলায় বিবিসি, উইকিমিডিয়া এবং ইন্টারনেট আর্কাইভের জবাব তলব করেছিল। ওই মামলাটি দায়ের করেছেন এক বিজেপি নেতা। আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মানহানিকর কোনও তথ্যচিত্র বা অন্য যে কোনও উপাদান প্রকাশ করা থেকে এই তিন সংস্থাকে বিরত রাখার দাবি জানান তিনি। তিনি দাবি করেন, ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদী কোয়েশ্চন’ তথ্যচিত্রটি বিজেপি, আরএসএস এবং বিশঅব হিন্দু পরিষদের মতো সংগঠনগুলির মানহানি করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে তথ্যচিত্রটির প্রদর্শন ভারতে নিষিদ্ধ করা হলেও, উইকিপিটিয়ার একটি পেজে তথ্যচিত্র সিরিজটি সম্পর্কে সব তথ্য দেওয়া আছে। সেই সঙ্গে ইন্টারনেট আর্কাইভের একটি লিঙ্ক রয়েছে, যেটি ব্যবহার করে সহজেই তথ্যচিত্রটি দেখা যায়।

বিবিসির পক্ষ থেকে এই দুই পর্বের তথ্যচিত্রটি প্রকাশ করার পরই তথ্যচিত্রটি নিয়ে ভারতে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। ভারত সরকারে পক্ষ থেকে সাফ জানানো হয়েছিল, তথ্যচিত্রটি ‘প্রোপাগান্ডামূলক’। ২১ জানুয়ারি, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ২০২১ সালের তথ্য প্রযুক্তি আইনের জরুরী ক্ষমতা ব্যবহার করে বিতর্কিত ডকুমেন্টারিটি শেয়ার করা সমস্ত ইউটিউব চ্যানেল এবং টুইট ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টে বিবিসি সংস্থাকে ভারতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করার আবেদন করা হয়েছিল। আদালত অবশ্য সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি।