Murder Case: হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ আসতেই আঁতকে উঠলেন সকলে, আর্থিক সঙ্কট মেটাতে এ কী করলেন বাড়ির কর্তা!
Murder Case: শনিবার দুপুরে নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে কুপিয়ে খুন করলেন বছর ৪০-র এক ব্যক্তি। পরে নিজেই অপরাধ স্বীকার করে নিলেন, তবে পুলিশের মুখোমুখি নয়, পারিবারিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে।
নয়া দিল্লি: আর্থিক টানাটানিতে সংসার চালানো দায় হয়ে উঠেছিল। কোনওভাবেই সেই আর্থিক টানাটানি থেকে উদ্ধারের উপায় না পেয়ে, বাধ্য হয়েই চরম পদক্ষেপ নিলেন এক ব্যক্তি। শনিবার দুপুরে নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে কুপিয়ে খুন করলেন বছর ৪০-র এক ব্যক্তি। পরে নিজেই অপরাধ স্বীকার করে নিলেন, তবে পুলিশের মুখোমুখি নয়, পারিবারিক হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে। ঘটনাটি ঘটেছে নয়া দিল্লির গীতা কলোনিতে। পলাতক ওই ব্যক্তির খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার দুপুর ৩টে ৪০ মিনিট নাগাদ খুন হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম সচিন অরোরা (৪০)। তিনি নিজেই স্ত্রী কাঞ্চন অরোরা (৩৫) ও তাঁর ১৫ বছরের ছেলেকে খুন করেন। পরে নিজেই পরিবারের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে খুনের কথা স্বীকার করে নেন। পরিবারেরই এক সদস্য এরপরে পুলিশে খবর দেন।
ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশ দেখতে পায়, সচিনের স্ত্রী ও ছেলের দেহ বাড়ির দোতলায় পড়ে রয়েছে। স্ত্রীর দেহ রাখা ছিল বিছানায়, অন্যদিকে ছেলেটির দেহ পড়েছিল মাটিতে। ক্রাইম ও ফরেন্সিক দল ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেছে।
পরিবার ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, সচিন নামক ওই ব্যক্তির একটি মুদি দোকান ছিল। কিন্তু বিগত কয়েক বছর ধরেই তাঁর ব্যবসা চলছিল না। আর্থিক দেনার দায়ে ডুবে গিয়েছিলেন তিনি। পরিবারের মধ্যেও এই নিয়ে বচসা শুরু হয়। শেষ অবধি শনিবার তিনি নিজেই স্ত্রী ও ছেলেকে খুন করে দেন। কিছুক্ষণ বাদে নিজেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে মেসেজ করে খুনের কথা জানান।
গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির খোঁজে তল্লাশি অভিযানও শুরু করা হয়েছে।