Shraddha Walker Murder: জঙ্গল থেকে উদ্ধার মহিলাদের হাত ও পায়ের হাড়, প্রকাশ্যে কীর্তিমান আফতাবের সিসিটিভি ফুটেজ
Shraddha Walker Murder: আফতাব পুনাওয়ালার ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে ধারাল, ভারী অস্ত্রের হদিশ পাওয়ার পর এবার মেহরৌলির জঙ্গল থেকে মহিলাদের হাড় উদ্ধার করল পুলিশ। একটি সিসিটিভি ফুটেজও দিল্লি পুলিশের হাতে এসেছে।
নয়া দিল্লি: দিল্লির নৃশংস হত্যাকাণ্ডের (Delhi Murder) রহস্য ক্রমশ উন্মোচিত হচ্ছে। শনিবার আফতাব পুনাওয়ালার ফ্ল্যাটের ভিতর থেকে ধারাল, ভারী অস্ত্রের হদিশ পাওয়ার পর এবার মেহরৌলির জঙ্গল থেকে মহিলাদের হাড় উদ্ধার করল পুলিশ। এছাড়া ১৮ অক্টোবর রাতের আফতাবের বাড়ি সংলগ্ন এলাকার একটি সিসিটিভি ফুটেজ দিল্লি পুলিশের হাতে এসেছে। যা থেকে পুলিশের অনুমান, শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুনের পরই দেহাংশ জঙ্গলে ফেলতে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন আফতাব।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্রদ্ধা ওয়াকারের দেহাংশের হদিশ পেতে এদিন সকাল ৬টা থেকেই মেহরৌলির জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান শুরু করে দিল্লি পুলিশ। সেই অভিযানেই ছত্তরপুরে আফতাবের বাড়ি থেকে ১০০ মিটার দূরে জঙ্গলের ভিতর দেহের ৩টি বড় হাড় খুঁজে পান তদন্তকারীরা। সেগুলি মহিলাদের হাত এবং পায়ের হাড় বলেই তদন্তকারীদের দাবি। হাড়গুলিতে কাটার দাগও রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। বড় ধারাল অস্ত্র দিয়েই হাড়গুলি কাটা হয়েছিল বলে তদন্তকারীদের দাবি। তবে এগুলি শ্রদ্ধার হাড় কিনা সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলতে নারাজ পুলিশ। ফরেন্সিক ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষার পরই সেটা বোঝা যাবে। উল্লেখ্য, গত ১৬ নভেম্বর থেকে এদিন পর্যন্ত মোট তিনবার জঙ্গলে তল্লাশি অভিযান চালাল দিল্লি পুলিশ।
CCTV footage of Shraddha murder accused Aftab surfaced
◆ CCTV is of 18th October night at 4:01 pm
◆ Bag and box are visible in Aftab’s hand and it is seen going towards the forest#Shraddha #AftabPoonawalla #AftabAminPoonawala pic.twitter.com/3AXjVn9B2K
— Siraj Noorani (@sirajnoorani) November 19, 2022
অন্যদিকে, গত ১৮ অক্টোবর রাতের আফতাব পুনাওয়ালার বাড়ি সংলগ্ন এলাকার একটি সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, হাতে একটি ব্যাগ নিয়ে আফতাব বাড়ি থেকে বেরোচ্ছে। আফতাবকে পরপর তিনবার একই ধরনের ব্যাগ নিয়ে ফ্ল্যাট থেকে বেরোতে দেখা গিয়েছে। জঙ্গল থেকে মহিলাদের দেহের হাড় খুঁজে পাওয়া এবং রাতের অন্ধকারে ব্যাগ হাতে নিয়ে বারবার আফতাবের বাড়ি থেকে বেরিয়ে জঙ্গলের দিকে যাওয়ার সিসি ফুটেজ থেকে পুলিশের অনুমান, শ্রদ্ধা ওয়াকারকে খুনের পর দেহ ৩৫ টুকরো করে প্রথমে ৩০০ লিটার ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখেছিলেন আফতাব। পরে সেই দেহাংশগুলি ওই ব্যাগে করে নিয়ে কোথাও ফেলতে যাচ্ছিলেন আফতাব। ইতিমধ্যে গুরুগ্রামে আফতাব যে অফিসে কাজ করতেন, সেখানে তল্লাশি চালিয়ে কালো প্লাস্টিক ব্যাগ পেয়েছে পুলিশ। বান্ধবীর দেহাংশ ডাস্টবিনে ফেলার জন্যই আফতাব সেই প্লাস্টিক জোগাড় করেছেন বলে পুলিশের অনুমান। শ্রদ্ধার রক্তমাথা পোশাক কালো প্লাস্টিকে ভরে পুরসভার নোংরা ফেলার গাড়িতে ফেলা হয়েছিল বলে স্বীকারও করেছেন আফতাব।
এদিকে, শ্রদ্ধার অফিসের সহকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, আফতাব শ্রদ্ধাকে মারধর করতেন। শ্রদ্ধা ওয়াকারের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পরতে-পরতে যেন রহস্য। সেই রহস্যের উন্মোচন করতে দিল্লি পুলিশ ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রে শ্রদ্ধা ও আফতাবের বাড়ির পাশাপাশি হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডেও পাড়ি দিয়েছে। কেননা শ্রদ্ধা ও আফতাব মহারাষ্ট্র ছাড়ার পর হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে, শ্রদ্ধা হত্যাকাণ্ডের তদন্তে সবদিক খতিয়ে দেখছে পুলিশ।