রক্ষা হল না টিকার ২ ডোজ়েও, করোনা কেড়ে নিল প্রখ্যাত চিকিৎসককে

সুমন মহাপাত্র |

May 09, 2021 | 11:06 AM

মার্চ মাসে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ় নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনওভাবেই করোনাজয়ী হয়ে উঠতে পারলেন না।

রক্ষা হল না টিকার ২ ডোজ়েও, করোনা কেড়ে নিল প্রখ্যাত চিকিৎসককে
ফাইল চিত্র

Follow Us

নয়া দিল্লি: ভেন্টিলেটরে যাওয়ার আগে ডঃ অনিল কুমার বিশ্বাস বলেছিলেন, “আমার কিছু হবে না, আমি ভ্যাকসিন নিয়ে আছি। আমি ঠিক ফিরে আসব।” কিন্তু আর ফেরা হল না। ৫৮ বছর বয়সী চিকিৎসককে কেড়ে নিল করোনা (COVID 19)। ১৯৯৪ সাল থেকে রোগী চিকিৎসা করছেন অনিল। মার্চ মাসে কোভিশিল্ডের দ্বিতীয় ডোজ় নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কোনওভাবেই করোনাজয়ী হয়ে উঠতে পারলেন না। দিল্লির সরোজ হাসপাতালেই প্রাণ হারালেন তিনি।

অনিলের মৃত্যুতে হাসপাতালের শোকের ছায়া। সরোজ হাসপাতালের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর পিকে ভরদ্বাজ বলেন, “ও আমার বড় ছেলের মতো ছিল। মৌলানা আজ়াদ কলেজ থেকে সে এমএস সার্জারি পাশ করেছিল। সেই ১৯৯৪ সাল থেকে শেষদিন পর্যন্ত আমার ইউনিটেই ছিল অনিল।” ১০-১২ দিন আগে অনিলের শরীরে বাসা বাঁধে করোনাভাইরাস। প্রথমে হোম আইসোলেশনেই চিকিৎসা চলছিল তাঁর। কিন্তু পরে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় অনিলকে।

চিকিৎসক পিকে ভরদ্বাজ জানান, অনিলের চিকিৎসায় কোনও খামতি ছিল না। তবে টিকার দু’টি ডোজ় নেওয়ার পরও করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হওয়ায় বাড়ছে চিন্তা। অনেক চিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মী দুই ডোজ় নিয়ে থাকা সত্ত্বেও শরীরে করোনার উপসর্গ ধরা পড়ছে। কিন্তু এটাই প্রথম কোনও সম্পূর্ণ ভ্যাকসিনেটেড স্বাস্থ্যকর্মীর করোনায় মৃত্যু, এ কথা জানান পিকে ভরদ্বাজ।

ভ্যাকসিনের দুই ডোজ় নেওয়ার পর করোনা আক্রান্তের খবর আগেও এসেছে। তাই চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন টিকা নেওয়ার পরেও মাস্ক পরতে ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে। সেটাই করোনা রোখার একমাত্র বিকল্প। তবে ভ্যাকসিন নেওয়ার উৎসাহ হারালে চলবে না। কারণ ভ্যাকসিন নেওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত কম, আর আক্রান্ত হলেও তা মারণ হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে এতকিছুর পরেও দেশের করোনা গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। গত ২৪ ঘণ্টাতেই দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৭৩৮ জন। শুক্রবার এই সংখ্যাটি ছিল ৪ লক্ষ ১ হাজার ৭৮ । গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা সামান্য কমেছে, একদিনে মৃত্যু হযেছে ৪ হাজার ৯২ জনের। এই নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২ কোটি ২২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৪১৪। এদের মধ্যে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬৪৮।

আরও পড়ুন: উর্ধ্বমুখী করোনার পারদ, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪ লক্ষ ৩ হাজার, মৃত্যু ৪ হাজার ৯২ জনের

Next Article