Acid Attack: স্কুলের পথে অনুসরণ করছিল একটা বাইক, হালকা ব্রেক কষে পকেট থেকে বের করল বোতল, তারপরের ঘটনা শিউরে ওঠার মতো…

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Dec 15, 2022 | 8:13 AM

Delhi Crime: পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হামলার ১২ ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম সচিন অরোরা (২০), হর্ষিত আগরওয়াল (১৯) ও বীরেন্দর সিং (২২)।

Acid Attack: স্কুলের পথে অনুসরণ করছিল একটা বাইক, হালকা ব্রেক কষে পকেট থেকে বের করল বোতল, তারপরের ঘটনা শিউরে ওঠার মতো...
সিসিটিভিতে ধরা পড়ে হামলার মুহূর্ত।

Follow Us

নয়া দিল্লি: রাজধানীর বুকেই অ্যাসিড হামলার শিকার কিশোরী। বুধবার দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির দ্বারকা এলাকায় ১৭ বছরের এক কিশোরীর উপর হামলা হয়। ১৭ বছরের ওই কিশোরীর মুখে চলন্ত বাইক থেকেই অ্যাসিড জাতীয় কোনও রাসায়নিক ছুঁড়ে মারা হয়। সঙ্গে সঙ্গে পুড়ে যায় তাঁর মুখ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে ওই কিশোরী। তাঁর মুখের ৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই হামলাকারী দুইজনকে চিহ্নিত করেছে আহত কিশোরী। পুলিশও হামলায় জড়িত থাকার সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাকি দিনের মতো বুধবারও সকালে স্কুলের জন্য রওনা দিয়েছিল ১৭ বছরের কিশোরী। তাঁর সঙ্গে ছিল ১৩ বছরের বোনও। দুইজনেই মেট্রোয় করে স্কুলে যেত। বাড়ি থেকে বেরিয়ে এলাকা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময়ই আচমকা একটি বাইকে চেপে দুইজন আসে। ১৭ বছরের কিশোরীকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড জাতীয় কিছু ছুড়েই পালিয়ে যায়।

হামলার পরই  মুখে হাত দিয়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে শুরু করে কিশোরী। প্রথমে এক প্রতিবেশীর বাড়িতে নিয়ে গিয়ে চোখে-মুখে জল দেওয়া হয়। সেখান থেকে আহত ছাত্রীকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে ওই কিশোরী স্থিতিশীল হলেও তাঁর মুখের ৮ শতাংশ পুড়ে গিয়েছে।
অন্যদিকে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, হামলার ১২ ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম সচিন অরোরা (২০), হর্ষিত আগরওয়াল (১৯) ও বীরেন্দর সিং (২২)। সচিন ও হর্ষিতই বাইকে চেপে এসে কিশোরীর মুখে অ্যাসিড ছু়ড়েছিল। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে বীরেন্দর সচিনের স্কুটার ও মোবাইল ফোন নিয়ে শহরের অন্য প্রান্তে যায়। তাদের পরিকল্পনা ছিল, পুলিশ তদন্ত করে তাদের কাছে পৌঁছলে হামলার সময়ে তারা অন্যত্র ছিল বলেই দাবি করবে। প্রমাণ হিসাবে কাজ করবে মোবাইলের লোকেশন।

জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সচিন ওই স্কুল পড়ুয়াকে আগে থেকে চিনত। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। এরপরই অ্যাসিড হামলার পরিকল্পনা করে সচিন। তাঁকে সাহায্য করে দুই বন্ধু। তদন্তে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তরা ফ্লিপকার্ট থেকে অ্যাসিড অর্ডার করেছিল।

Next Article