নয়া দিল্লি: করোনার বিরুদ্ধে দেশের প্রধান অস্ত্র ভ্যাকসিন (COVID Vaccine)। সেই ভ্যাকসিন নিয়েই চাঞ্চল্যকর দাবি এইমসের গবেষণায়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলেরও গবেষণায় একই তথ্য উঠে এসেছে। যেখানে গবেষকরা দাবি করেছেন, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিনের ২ ডোজ় নেওয়া থাকলেও দেহে করোনার ভারতে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা(বি.১.৬১৭.২) স্ট্রেন আঘাত হানতে পারে। তবে এই গবেষণা এখনও পির রিভিউড হয়নি।
অন্যদিকে আইসিএমআর ও পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরলজির গবেষণা বলছে ডেল্টা স্ট্রেনকে রুখতে সক্ষম কোভ্যাক্সিন। সব মিলিয়ে দুই পরস্পরবিরোধী গবেষণায় বিভ্রান্ত হচ্ছে আম আদমি।
এইমসের ইনস্টিটিউট অব জিনোমিকস অ্যান্ড ইন্টাগ্রেটিভ বায়োলজি ৬৩ জন উপসর্গ-যুক্ত করোনা আক্রান্তকে নিয়ে এই গবেষণা চালিয়েছে। এই ৬৩ জনের মধ্যে ৫৩ জনকে কোভ্যাক্সিন ও বাকি ১০ জনকে কোভিশিল্ড দেওয়া হয়েছিল। সেখানে ৩৬ জন এমনও ছিলেন যাঁরা কোভিশিল্ডের দু’টি করোনা টিকা পেয়েছেন। যাঁরা ভ্যাকসিনের একটি ডোজ় নিয়েছেন তাঁদের শরীরে ভারতে ছড়িয়ে পড়া ডেল্টা (বি.১.৬১৭.২) ভ্যারিয়েন্ট ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা ৭৬.৯ শতাংশ। অন্যদিকে দুই ডোজ় প্রাপকদের শরীরে এই স্ট্রেন আঘাত হানার সম্ভাবনা ৬০ শতাংশ। এমনই দাবি এইমসের সমীক্ষার।
ভ্যাকসিনকে ফাঁকি দিচ্ছে ইংল্যান্ডে ছড়িয়ে পড়া আলফা (বি.১.১.৭) স্ট্রেনও। তবে ভ্যাকসিনকে ডেল্টা স্ট্রেনের থেকে কম আঘাত হানতে পারছে আলফা। তবে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ফলে করোনা আক্রান্ত হয়ে দ্রুত মৃত্যু হচ্ছে, এমন কোনও গবেষণা পাননি বিজ্ঞানীরা। করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সক্ষম কোভ্যাক্সিন। আইসিএমআর ও পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরলজির গবেষণায় এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছিল। তারপরই এইমসের এই গবেষণা সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলছে। যা নিয়ে দেখা দিচ্ছে প্রবল ধন্দ।
আরও পড়ুন: ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে ভুল তথ্য! ঠিক করবেন কীভাবে?