নয়া দিল্লি: অভব্য আচরণকারী যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে উড়ান সংস্থার কর্মীদের শাস্তি পেতে হবে। সম্প্রতি এয়ার ইন্ডিয়ার উড়ানে সহযাত্রীর গায়ে এক যাত্রীর প্রস্রাব করার বিষয়ে দেশজোড়া ক্ষোভের প্রেক্ষিতে, শুক্রবার এমনটাই জানালো অসামরিক বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক সংস্থা, ডিজিসিএ। অভব্য যাত্রীদের কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে বিমান কর্মীদের কার কী দায়িত্ব, সেই সম্পর্কে ডিজিসিএ-র নির্দেশিকা এদিন আরও একবার উড়ান সংস্থাগুলিকে মনে করিয়ে দিল ডিজিসিএ। তারা সাফ জানিয়েছে, অপ্রত্যাশিত ঘটনার ক্ষেত্রে বিমান সংস্থাগুলির নিষ্ক্রিয়তা বিমান যাত্রা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এমনকি, বুঝিয়ে সুঝিয়ে কাজ না হলে ‘অবাধ্য যাত্রীদের’ উপর ‘রিস্ট্রেইনিং ডিভাইস’ ব্যবহার, অর্থাৎ হাত-পা বেঁধে রাখার নিদানও দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকায় স্পষ্ট লেখা আছে, অভব্য আচরণকারী যাত্রীদের বিরুদ্ধে উড়ান সংস্থাকে এফআইআর দায়ের করতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে, ওই যাত্রীকে নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দিতে হবে। এই ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নিতে হবে পাইলটকেই। কী ধরনের আচরণ করলে কী পরিনতি হতে পারে, সেই সম্পর্কে অভব্য যাত্রীকে অবহিত করার দায়িত্ব কেবিন ক্রুদের। যদি সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় তবেই ‘রিস্ট্রেইনিং ডিভাইস’ ব্যবহার করার কথা বলা হয়েছে। সাধারণত বেশির ভাগ প্লেনের কেবিনেই এই হ্যান্ডকাফ বা বেল্টের মতো দেখতে ডিভাইসগুলি রাখা থাকে। কোনও বিমানে এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটলে, তা সরকারি কর্তৃপক্ষকে জানানোর দায়িত্ব ‘ডিরেক্টর ইন ফ্লাইট সার্ভিস’-এর। এই নির্দেশিকা সম্পর্কিত প্রত্যেকটা বিষয় সম্পর্কে পাইলট, কেবিন ক্রু এবং ডিরেক্টর ইন ফ্লাইট সার্ভিস-দের সচেতন করার নির্দেশ দিল ডিজিসিএ।
ডিজিসিএ বলেছে, “বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক ডিজিসিএ বিমানে বিশৃঙ্খল যাত্রীদের নিয়ন্ত্রণ এবং প্রবিধান অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বের বিষয়ে এয়ারলাইন্স অপারেশন প্রধানকে একটি পরামর্শ পাঠিয়েছে। সাম্প্রতিক অতীতে, উড়ান চলাকালীন বিমানে যাত্রীদের অসংলগ্ন এবং অনুপযুক্ত আচরণের বেশ কয়েকটি ঘটনা লক্ষ্য করেছে ডিজিসিএ। দেখা গিয়েছে বিভিন্ন পদধারী, পাইলট এবং কেবিন ক্রু সদস্যরা যথাযথ ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। এই ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার প্রতি উড়ান সংস্থাগুলির কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া বা অনুপযুক্ত পদক্ষেপ সমাজের বিভিন্ন অংশে বিমান যাত্রার ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করেছে। প্রযোজ্য প্রবিধানগুলি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং আইনি পদক্ষেপ করা হবে।”