ভুবনেশ্বর: মঙ্গলবার (২৭ জুন), মধ্য প্রদেশের ভোপাল থেকে সারা দেশের বিজেপির বুথ স্তরের কার্যকর্তাদের এক বিশেষ প্রশ্নোত্তর পর্বে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মধ্য প্রদেশের বুথ স্তরের কর্মীরা সরাসরি যোগ দিয়েছিলেন, আর দেশের অন্যান্য স্থানের বুথকর্মীরা যোগ দেন ভার্চুয়াল মাধ্যমে। তবে প্রধানমন্ত্রীর এই কর্মসূচিতে শুধু বুথ স্তরের কর্মীরাই নন, যোগ দেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানও। ওড়িশার ঢেঙ্কানাল জেলার গোন্দিয়ায় বিজেপির বুথ স্তরের কর্মীদের সঙ্গেই ভার্চুয়াল মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, পরামর্শ, শোনেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। বেশ কয়েকটি ছবি-সহ ধর্মেন্দ্র প্রধান টুইট করেছেন, “আজ মেরা বুথ সবসে মজবুত নামে দেশব্যাপী বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর আলাপচারিতার কর্মসূচি ছিল। ওড়িশার ঢেঙ্কানাল জেলার গোন্দিয়ায় হাজার হাজার কর্মী ভাই-বোনদের সঙ্গে আমিও এইকর্মসূচিতে যোগ দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ আমাদের সকল কর্মীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। কর্মীদের মধ্যে নতুন শক্তি, উদ্দীপনা ও আস্থার সঞ্চার হয়েছে।”
गोंदिया, ढेंनकानाल से ओड़िशा के मेरे हज़ारों कार्यकर्ता भाइयों-बहनों के साथ आज मैं भी प्रधानमंत्री @narendramodi जी की #MeraBoothSabseMajboot के अंर्तगत देशव्यापी कार्यकर्ता संवाद कार्यक्रम से जुड़ा।
प्रधानमंत्री जी ने अपने प्रेरणादायी उद्बोधन से हम सभी कार्यकर्ताओं में एक नयी… pic.twitter.com/dJjBxJNvCN
— Dharmendra Pradhan (@dpradhanbjp) June 27, 2023
এদিন ভোপালে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর আলাপচারিতায় বিরোধী জোট, অভিন্ন দেওয়ানি বিধি, মূল্যবৃদ্ধির মতো বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে। ভোপালে প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এবং মধ্য প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান। সভায় তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল নেতারই আসল শক্তি হচ্ছে বুথ কমিটি। বুথ কমিটিই সাধারণ মানুষের চাহিদা, সুবিধা-অসুবিধার কথা পৌঁছে দেন উপরের স্তরে। তিনি জানান, বুথ কমিটিই তাঁকে প্রথম জানিয়েছিল গ্রামীন এলাকায় রান্নার গ্যাসের প্রয়োজনীয়তার কথা। আর তা থেকেই তৈরি হয়েছিল উজ্জ্বলা গ্যাস প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বুথ কমিটির কাজ হল স্থানীয় মানুষের যাপনের প্রতিটি ক্ষেত্রে যুক্ত হওয়া। তাদের পরিষেবা দান করা। কীভাবে মানুষের আস্থা অর্জন করা যায়, সেই বিষয়েও বুথকর্মীদের পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি আরও জানান, বিজেপি কর্মীদের রাস্তাটা সহজ নয়। তিনি জানান, কিছু কিছু দল আছে, যারা শুধুমাত্র নিজেদের দলের উন্নতি চায়। তাদের রাস্তা সহজ। তুষ্টিকরণ, ভোট ব্যাঙ্কের রাজনীতি করলেই চলে। কিন্তু, এর ফলে দেশের উন্নতি থমকে যায় এবং সমাজে ভেদাভেদ বেড়ে যায় বলে জানান তিনি। উল্টোদিকে, বিজেপির সংকল্প অনেক বড়। মোদী বলেন, “আমাদের অগ্রাধিকার দল নয়, দেশ। দেশের ভাল হলে, সবার ভাল হবে। আমাদের রাস্তা হল দেশের মানুষকে পরিষেবা দেওয়া।” অভিন্ন দেওয়ানি বিধি-র বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, “দেশের একেক সম্প্রদায়ের জন্য যদি একেক আইন থাকে, তাহলে দেশ এগোতে পারে না। সংবিধানেও সকলের জন্য সমান অধিকারে কথা বলা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টও ইউনিফর্ম সিভিল কোড আনার জন্য বারবার চাপ দেয়।”
একইসঙ্গে তিনি অভিযোগ করেন, বিরোধীরা দুর্নীতিতে ডুবে আছে। কংগ্রেস-সহ যে বিরোধীরা জোট গঠন করতে চাইছে, তাদের সম্মিলিত দুর্নীতির পরিমাণ ২০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। এই বিষয়ে সবথেকে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। এছাড়া আরজেডি, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে – প্রত্যেক বিরোধী দলের বিরুদ্ধেই গাদা গাদা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, এই সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাঁর সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে। আর সেই কারণেই পিঠ বাঁচাতে একজোট হচ্ছে বিরোধীরা।