ইম্ফল: মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে মত পার্থক্য সামনে এল মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং এবং মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী জোরামথাঙ্গার। মণিপুরের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে জোরামথাঙ্গাকে নাক না গলানোর পরামর্শ দিলেন এন বীরেন সিং। মণিপুর হিংসায় ক্ষতিগ্রস্ত কুকি সম্প্রদায়ের প্রতি সহানুভূতি দেখাতে একটি মিছিলে যোগ দিয়েছেন মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রী। এর পরই জোরামথাঙ্গার উদ্দেশে এ কথা বললেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী।
৩ মে থেকে মণিপুরে হিংসা ছড়ানোর পর কুকি সম্প্রদায়ের প্রায় ১৩ হাজার জনকে আশ্রয় দিয়েছে মিজোরাম সরকার। এই কুকিদের সঙ্গে মিজো এবং মায়ানমানের বাসিন্দাদের অনেক সাদৃশ্য রয়েছে। অন্য দিকে মায়ানমার সেনা ও সেখানকার বিদ্রোহী দলের যুদ্ধ শুরু হতে মায়ানমার থেকে আসা শরণার্থীদেরও আশ্রয় দিয়েছে মিজোরাম সরকার।
মিজোরামের রাজধানী আইজলে আয়োজিত মিছিলের পর থেকেই ক্ষুব্ধ মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রী। মণিপুরের অখণ্ডতা ভঙ্গের অভিযোগও করেছেন তিনি। মিজোরামে আয়োজিত মিছিলকে ‘বর্বরতা’ও বলেছেন মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী। এ নিয়ে এন বীরেন সিং বলেছেন, “মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীকে আমি বলব অন্য রাজ্যের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলাতে।” এর পাশাপাশি ইউরোপীয় পার্লামেন্টেরও সমালোচনা করেছেন মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে তাদের নেওয়া বিবৃতি নিয়ে।
কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে গণ্ডগোল থেকেই মণিপুরে তৈরি হয়েছে হিংসাত্মক পরিস্থিতি। মে মাস থেকেই উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ব্যাপক অবনতি হয়েছে। এই পরিস্থিতির আঁচ পড়েছে রাজধানী নয়াদিল্লিতেও।