পুণে: দেশে করোনা (COVID) সংক্রমণ হু হু করে বাড়ছে। আর সবচেয়ে বেশি করোনা বিধ্বস্ত মহারাষ্ট্র। সে রাজ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬০ হাজার ২১২ জন। ঠাকরে রাজ্যে এই বাড়তি করোনা সংক্রমণের সঙ্গে ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের’ যোগসূত্র থাকার সম্ভাবনা প্রবল হচ্ছে। কারণ পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরলজির জিনোম সিকোয়েন্সে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। সিকোয়েন্সিংয়ে দেখা যাচ্ছে নমুনার ৬১ শতাংশই ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন’ অর্থাৎ ই৪৮৪কিউ এবং এল৪৫২আর।
জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসে সংগৃহীত মোট ৩৬১টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্স হয়েছিল পুণের এনআইভিতে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ৬১ শতাংশ অর্থাৎ ২২০টি নমুনাতেই ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন।’ এর আগে ২৪ মার্চ কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল মহারাষ্ট্রের ১৫-২০ শতাংশ নমুনায় ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন রয়েছে। তবে এই স্ট্রেনের সঙ্গে সংক্রমণ বৃদ্ধির যোগসূত্রে নেই বলেই জানিয়েছিল কেন্দ্র।
১০ এপ্রিল একটি বৈঠকে এনআইভির আধিকারিকরা প্রত্যেক সরকারি ল্যাবরেটরি কর্তাকে এই ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেনের’ বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে এখনও ঠাকরে প্রশাসনকে এ বিষয়ে লিখিত কিছু জানায়নি পুণে এনআইভি। এ বিষয়ে মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ টোপে বলেন, “কেন্দ্র মৌখিক ভাবে বিষয়টি জানিয়েছে, আমার এই বিষয়ে বিশদে জানতে চেয়েছি।”
মহারাষ্ট্রের রাজ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা অবশ্য সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ হিসেবে ‘ডবল মিউট্যান্ট স্ট্রেন’কে উড়িয়ে দিচ্ছেন না। ঠাকরের স্বাস্থ্য়সচিব ডঃ প্রদীব ব্যাশ এ বিষয়ে বলেন, “আধিকারিকরা কেন্দ্রের কাছে এই স্ট্রেনের বিষয়ে জানতে চেয়েছিলেন। কেন্দ্র কৌশলগত কোনও পরিবর্তন আনার কথা জানায়নি।”
আরও পড়ুন: শ্মশানে মৃতদেহের স্তূপ, ফুরিয়ে যাচ্ছে চিতা জ্বালানোর কাঠ, রাজ্যের হিসাবে বলছে অন্য কথা!