নয়া দিল্লি: অর্ডিন্যান্স জারি হওয়ার পর বাকিটা ছিল কেবলই সময়ের অপেক্ষা। হলও তাই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির অধিকর্তা সঞ্জয় কুমার মিশ্রর (Sanjay Kumar Mishra) কার্যকালের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হল। উল্লেখ্য, আগামী কালই অর্থাৎ ১৮ নভেম্বর এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অধিকর্তা সঞ্জয় কুমার মিশ্রর কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার আগে আজই ইডি প্রধানের কার্যকালের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হল।
আজ এক নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, ২০২২ সালের ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত অথবা পরবর্তী কোনও নির্দেশিকা না আসা পর্যন্ত এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অধিকর্তা হিসেবে তিনিই নিযুক্ত থাকবেন।
উল্লেখ্য, বর্তমানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রধান পদে রয়েছেন সঞ্জয় কুমার মিশ্র। ২০১৮ সালে তাঁকে ইডি অধিকর্তার পদে নিযুক্ত করা হয়েছিল। ইতিমধ্যেই তাঁর কার্যকালের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মামলাও গড়িয়েছিল। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি এল এন রাওয়ের নেতৃত্বাধীন এক বেঞ্চ এই প্রসঙ্গে জানিয়েছিল, কেবল মাত্র বিরল এবং ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রেই মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে।
অর্ডিন্যান্সের আগে পর্যন্ত ইডি বা সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অধিকর্তার পদে কেউ দুই বছরের জন্য বহাল থাকতে পারতেন। গতবছরই ইডি প্রধানের দুই বছরের কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ায়, তা আরও এক বছরের জন্য বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। আর এবার ঠিক তাঁর বর্ধিত কার্যকালের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই কেন্দ্র ১৪ নভেম্বর এক অর্ডিন্যান্স নিয়ে আসে।
নতুন অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী, এখন থেকে কার্যকালের মেয়াদ আরও তিন বছর বাড়ানো যেতে পারে। এখন থেকে সর্বাধিক পাঁচ বছর সিবিআই ও ইডির অধিকর্তার পদে বহাল থাকতে পারবেন সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। সিবিআই এবং ইডির প্রধানদের কার্যকালের দুই বছরের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রতি বছর তাঁদের কার্যকালের মেয়াদ বাড়ানো যাবে। সর্বোচ্চ তিন বছর পর্যন্ত এই মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারবে।
আর এই অর্ডিন্যান্স নিয়ে আসার পর পরই বাড়ানো হল ইডি প্রধানের কার্যকালের মেয়াদ। স্পষ্টতই কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ থেকে বোঝা যাচ্ছে এস কে মিশ্রকে ইডির অধিকর্তার পদ থেকে এখনই সরাতে চাইছে না কেন্দ্র। বিশেষ করে তাঁর দীর্ঘদিনের কর্মজীবনের যে অভিজ্ঞতা, তার পুরোটা নিঙড়ে নিতে চাইছে ইডি। বিশেষ করে মেহুল চোক্সি, নীরব মোদী, বিজয় মাল্যদের মতো যে বড় বড় রাঘব বোয়ালরা আর্থিক তছরূপের পর দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, তাদের দেশে ফেরানোয় বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে ইডি। একইসঙ্গে দেশেরও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে ইডি। তার মধ্যে রয়েছে বাংলার রাজনীতির সঙ্গে জড়িত একাধিক ইস্যু।