Ejaculation: বীর্যপাত আবশ্যক নয় ধর্ষণ প্রমাণে, জানাল উচ্চ আদালত

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Apr 19, 2023 | 4:23 PM

POCSO Act: আদালত জানিয়েছে, পকসো আইনের তিন নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি যদি নাবালিকার সঙ্গে যৌন সংসর্গের মাধ্যমে যৌন হেনস্থা করে। তা প্রমাণিত হলে তা দোষী সাব্যস্তের জন্য যথেষ্ট। দোষ প্রমাণের জন্য বীর্যপাতের বিষয়টি এ ক্ষেত্রে আবশ্যক নয়।

Ejaculation: বীর্যপাত আবশ্যক নয় ধর্ষণ প্রমাণে, জানাল উচ্চ আদালত
প্রতীকী ছবি

Follow Us

বিশাখাপত্তনম: যৌন নির্যাতনের প্রমাণ হিসাবে বীর্যপাত হওয়া আবশ্যক নয়। সম্প্রতি এক নাবালিকা যৌন নির্যাতন মামলার রায়ের প্রক্ষিতে এ কথা জানালো অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্ট। পকসো আইনে এক ব্যক্তিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল অন্ধ্র প্রদেশের একটি জেলা আদালত। জেলা আদালতের শাস্তিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্টে আবেদন করেন নাবালিকা ধর্ষণে দোষী ব্যক্তি। সেই আবেদন খারিজ করে জেলা আদালতের রায় বহাল রেখেছে সে রাজ্যের হাইকোর্ট। সেই প্রেক্ষিতেই আদালত জানিয়েছে, পকসো আইনের তিন নম্বর ধারা অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি যদি নাবালিকার সঙ্গে যৌন সংসর্গের মাধ্যমে যৌন হেনস্থা করে। তা প্রমাণিত হলে তা দোষী সাব্যস্তের জন্য যথেষ্ট। দোষ প্রমাণের জন্য বীর্যপাতের বিষয়টি এ ক্ষেত্রে আবশ্যক নয়।

২০১৫ সালে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নাবালিকাকে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। ওই নাবালিকার সঙ্গে যৌন সংসর্গ করে অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে। সেই অভিযোগর ভিত্তিতেই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন অভিযুক্ত। অন্ধ্র প্রদেশের পশ্চিম গোদাবরী জেলা আদালত ২০১৬ সালে দোষীর ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। সঙ্গে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সেই রায়ের বিরুদ্ধেই অন্ধ্র প্রদেশ হাইকোর্টে আবেদন করেন নাবালিকা ধর্ষণে দোষী। সেই প্রক্ষিতেই হাইকোর্টের বিচারপতি মানবেন্দ্রনাথ রায় বলেছেন, “যখন ১২ বছরের কম বয়সি কারও সঙ্গে পেনিট্রেটিভি যৌন নির্যাতন ঘটেছে। তখন তা পকসো আইনের ৫(এম) এবং ৬ নম্বর ধারায় শাস্তির বিধান রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বীর্যপাত প্রমাণ গুরুত্বপূর্ণ নয়।”

ওই ব্যক্তি চিকিৎসকের রিপোর্টকে হাতিয়ার করে আদালতে আবেদন করেছিলেন, নির্যাতিতার শরীরে তার বীর্যের উপস্থিতির প্রমাণ মেলেনি। যদিও চিকিৎসকের রিপোর্টে নাবালিকা যৌনাঙ্গে আঙুল প্রবেশের উল্লেখ রয়েছে। এবং এর জেরে হাইমেন ছিঁড়ে যাওয়ার প্রমাণও মিলেছিল। সেই রিপোর্ট এবং নাবালিকার বয়ানের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে দোষী সাব্যস্ত হন ওই ব্যক্তি। তাঁর আবেদনের প্রেক্ষিতে ধর্ষিতার শরীরে বীর্যপাতের উপস্থিতি দেখে দোষী সাব্যস্তের বিষয়টি জানালো আদালত।

Next Article