গত কাল রাতেই দিল্লিতে শাহী বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন মহারাষ্ট্রের ‘মহাযুতি’ জোটের তিন নেতা। রাতের বেলা বৈঠক সেরে বেড়িয়ে সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা প্রধান একনাথ শিন্ডে বলেছিলেন, ‘ভাল এবং ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে’। তবে মুখ্যমন্ত্রী কে হবে, তা ঠিক হবে আগামীকাল মুম্বইতে বৈঠকের পরেই। সেই বৈঠকে থাকার কথা ছিল তিন নেতারই। কিন্তু কথা রাখলেন না একনাথ।
বৈঠক বাতিল করেই হঠাৎ করে নিজের গ্রামের বাড়ি সাতারর উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন একনাথ শিন্ডে। সূত্রের খবর তিনি ফিরে আসলে তার পরেই বৈঠক হবে।
তবে কি অনির্দিষ্টকালের জন্য এই ভাবেই ফাঁকা থাকবে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি? অমিত শাহের বাড়িতে বৈঠকেই বা কী আলোচনা হল?
সূত্রের খবর বৃহস্পতিবার রাতে অমিত শাহের বাড়িতে জেপি নাড্ডার উপস্থিতিতে বৈঠক হয়। সেই বৈঠকে যোগ দেন মহারাষ্ট্রে বিজেপির সারথী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। ছিলেন এনসিপি প্রধান অজিত পওয়ার এবং শিবসেনা প্রধান একনাথ শিন্ডেও। প্রসঙ্গৎ জেনে রাখা ভাল মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন মূলত দু’জন। দেবেন্দ্র ফড়ণবীস এবং একনাথ শিন্ডে। এনসিপি ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ফড়ণবীস মুখ্যমন্ত্রী হলে সমর্থন দেবে তাঁরা।
কুর্সীতে কে বসবেন তা এখনও অবধি জানা যায়নি। তবে সূত্রের খবর মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সীতে বসতে পারেন দেবেন্দ্র ফড়ণবীসই। অন্যদিকে, একনাথ শিন্ডেকে জাতীয় রাজনীতিতে বড় সুযোগ দিতে পারে বিজেপি। এমনকি বড় কোনও বিভাগের দায়িত্ব আসতে পারে তাঁর কাঁধে। তবে এই বিষয়ে কোনও নিশ্চয়তা নেই।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বৈঠক করে বেড়িয়ে একনাথ শিন্ডে বলেছিলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ যা সিদ্ধান্ত নেবেন তাই মেনে নেবেন। সরকার গঠনের ক্ষেত্রে তিনি কোনও বাঁধা হয়ে দাঁড়াবেন না।’
সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দু’জন উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে একজন এনসিপির তরফে অন্যজন, শিবসেনার তরফ থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারে।
আবার গৃহমন্ত্রকের দায়িত্ব বিজেপি নিজের কাছে রাখতে পারে বলেই খবর। অর্থমন্ত্রক পেতে পারে এনসিপি। শিবসেনা পেতে পারে নগর উন্নয়ন এবং গণপূর্ত বিভাগ।
বিশেষ সূত্রের খবর, ডিসেম্বরের ২ তারিখেই শপথ গ্রহণ হতে পারে। নতুন সরকারে বিজেপি ২২টি ক্যাবিনেট মন্ত্রক, শিবসেনা ১২টি মন্ত্রক এবং এনসিপি ৯টি মন্ত্রালয় পেতে পারে। এখন বিজেপি পার্লামেন্টারি বোর্ডের বৈঠক কবে ডাকা হবে সেটাই দেখার।