AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

রোজ ফোন করে ধমক-চমক, ডাক্তারের কাছ থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকার তোলাবাজি CBI-র! পরে জানলেন…

Cyber Fraud: সিবিআই আধিকারিক ওই চিকিৎসকের আধার নম্বর জানতে চান এবং তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে, জানতে চান। এরপরই প্রতারক হুমকি দেয় যে সমস্ত টাকা যদি সিবিআইয়ের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার না করে দেন, তবে গ্রেফতার করা হবে তাঁকে।

রোজ ফোন করে ধমক-চমক, ডাক্তারের কাছ থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকার তোলাবাজি CBI-র! পরে জানলেন...
প্রতীকী চিত্রImage Credit: Pixabay
| Updated on: May 23, 2024 | 9:57 AM
Share

বেঙ্গালুরু: ভুয়ো নথি দিয়ে ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট খোলা হয়েছে, সেখান থেকে হচ্ছে বেআইনি লেনদেন। সিবিআইয়ের ফোন পেলেন বৃদ্ধ চিকিৎসক। সব শুনে তো আকাশ থেকে পড়লেন। এদিকে, সিবিআই আধিকারিকরা তো চোট-পাট দেখাচ্ছেন। বললেন, অ্যাকাউন্ট থেকে লেনদেন হওয়া টাকা যদি সিবিআইয়ের অ্যাকাউন্টে না পাঠান, তবে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হবে চিকিৎসককে। কোনও অপরাধ না করেই, গ্রেফতারির ভয়ে ৩ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা পাঠালেন সিবিআইয়ের অ্যাকাউন্টে!

সিবিআই কি এভাবে টাকা নেয়? দিনের পর দিন টাকা দিয়ে ফতুর হয়ে গিয়েই শেষ পর্যন্ত সাইবার ক্রাইমের দ্বারস্থ হলেন চিকিৎসক। তখনই জানতে পারলেন, কোনও সিবিআই নয়, প্রতারণার শিকার হয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নাম ভাঁড়িয়েই বৃদ্ধ চিকিৎসকের কাছ থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা।

কর্নাটকের হাভেরীর বাসিন্দা ভীমসেন শ্রীনিবাস কারজাগির কাছে গত ১১ মে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। ও প্রান্ত থেকে পরিচয় দেওয়া হয়, মুম্বইয়ের সিবিআই অফিসার দীক্ষিত গাদাম কথা বলছেন। চিকিৎসককে  ওই ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক জানান যে নরেশ গয়াল নামে এক ব্যক্তি তাঁর নামে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন এবং সেই অ্যাকাউন্ট থেকে বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে আর্থিক মদত দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক প্রতারণা ও আর্থিক তছরুপেও ওই চিকিৎসকের নাম খুঁজে পেয়েছে সিবিআই।

এরপর ভুয়ো সিবিআই আধিকারিক ওই চিকিৎসকের আধার নম্বর জানতে চান এবং তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কত টাকা আছে, জানতে চান। এরপরই প্রতারক হুমকি দেয় যে সমস্ত টাকা যদি সিবিআইয়ের অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার না করে দেন, তবে গ্রেফতার করা হবে তাঁকে।

ভয়ে ১০টি অ্যাকাউন্টে ধাপে ধাপে ৩ কোটি ৭১ লক্ষ টাকা পাঠান ওই চিকিৎসক।  কিন্তু দিনের পর দিন এইভাবে টাকা নেওয়াতেই তাঁর সন্দেহ হয়। গত ১৮ মে পুলিশে গিয়ে অভিযোগ জানান চিকিৎসক। সাইবার ক্রাইম শাখা গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।