নয়া দিল্লি: ‘তৃণমূলের গুণ্ডাদের’ গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনের উচ্চপদস্থ আধিকারিক! শনিবার কিছু হোয়াটসঅ্যাপ কথোপথনের স্ক্রিনশট প্রকাশ্যে এনে এমনটাই দাবি করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিত করতে কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টেও যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। যদিও ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই পালটা কমিশনের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেওয়া হল।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।’ কমিশনের স্পষ্ট দাবি, তাদের কোনও আধিকারিক কোনও নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের কর্মীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়নি। যা পদক্ষেপ করা হয়েছে, তা একমাত্র শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের স্বার্থেই করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কমিশন। তাদের সাফ কথা, “কোনও বিশেষ দলের কর্মীদের আলাদা করে ধরার কোনও প্রশ্নই নেই।”
কমিশন এ দিন জানিয়েছে, সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের একাংশের সূত্রে সামনে এসেছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুলেছেন যে কয়েকজন আধিকারিক নাকি তৃণমূলের গুণ্ডাদের গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন। কমিশনের আধিকারিকদের নিয়ে করা এই মন্তব্য সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং বিভ্রান্তিমূলক। এই ধরনের কোনও নির্দেশ দেওয়াই হয়নি।
আরও পড়ুন: মমতার হাতে কমিশনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট! বিজেপির ঘর থেকেই পেয়েছেন, দাবি নেত্রীর
বিজ্ঞপ্তিতে আরও লেখা হয়, মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও দাবি করা হয়েছে। যদিও এই সংক্রান্ত কোনও মামলা হয়েছে এমন তথ্য পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে বা কমিশনের কাছে আসেনি। প্রসঙ্গত, গতকাল এই প্রসঙ্গে কমিশনকে নিশানায় নিয়ে মমতা বলেছিলেন, ‘কমিশনকে আমরা অনেক বেশি সম্মান দিয়ে ফেলেছি। তোমরা বিজেপির হয়ে কাজ করছ। তোমরা কি বিজেপির আয়না না ময়না? এবার একটা প্রতিবাদ জানানোর সময় এসেছে।’
আরও পড়ুন: আধাসেনাকে রুখতে নতুন ‘নিদান’ মমতার, ‘অস্ত্র’ এ বার কোভিড