নয়া দিল্লি: ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। তারপরই, নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে কঠোর পদক্ষেপ করা শুরু করল নির্বাচন কমিশন। সোমবার (১৮ মার্চ), বাংলা-সহ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বড় কিছু প্রশাসনিক বদল করল কমিশন। সরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ছয় রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবদের। এই ছয় রাজ্য হল – গুজরাট, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখন্ড। এছাড়া, মিজোরাম এবং হিমাচল প্রদেশের প্রশাসনিক সচিবকেও অপসারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে অপসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ডিজিপি, রাজীব কুমারকে। বৃহন্মুম্বাই পৌর কর্পোরেশনের কমিশনার ইকবাল সিং চাহাল এবং অতিরিক্ত কমিশনার ও ডেপুটি কমিশনারদেরও সরিয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ভোট ঘোষণার সময়ই প্রধান নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, নির্বাচনকে শান্তিপূর্ণ করতে কটোর পদক্ষেপ করা হবে। ভোট ঘোষণার একমাস আগেই কমিশন প্রতিটি রাজ্যের প্রশাসনের কাছে একটি নির্দেশিকা পাঠিয়েছিল। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, একটানা তিন বছর বা তার বেশি সময় ধরে কোনও একটি নির্দিষ্ট পদে আছেন যে আধিকারিকরা, ভোটের আগে তাদের সেই পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। ভোট ঘোষণার পরই সেই লক্ষে কাজ করা শুরু করে দিল নির্বাচন কমিশন।
সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এই প্রশাসনিক অদলবদল, একটা ধারাবাহিক ঘটনা। অর্থাৎ, এখানেই আধিকারিকদের অপসারণ করা শেষ হচ্ছে না, বরং বলা যেতে পারে শুরু হল। একেবারে প্রশাসনের উপরের স্তর থেকে এই প্রক্রিয়া শুরু করা হল। এরপর, ডিএম-এসপি-সহ আরও নীচুতলার প্রশাসনিক আধিকারিকদের সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, যারা একই পদে ৩ বছরের বেশি সময় ধরে আছেন, বা যাদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ রয়েছে, এমন আধিকারিকদেরই সরানো হবে বলে শোনা যাচ্ছে।