নয়াদিল্লি: ২০১৪ সালে প্রথমবার ক্ষমতায়। আর প্রধানমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পরই দেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে উদ্যোগী হন নরেন্দ্র মোদী। বিদেশি সংস্থাগুলিকে ভারতে পণ্য উৎপাদনের আহ্বান জানান। সেসব তথ্য উল্লেখ করে মোদী সরকারের আমলে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সাল থেকে দেশে কর্মসংস্থানের হার বেড়েছে। ২০১৪-১৫ সালে দেশে চাকরির সংখ্যা ছিল ৪৭.১৫ কোটি। ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে তা পৌঁছয় ৬৪.৩৩ কোটিতে। মোদী সরকারের আমলে চাকরির হার ৩৬ শতাংশ বেড়েছে।
তিনি বলেন, “২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত শুধুমাত্র ২ কোটি ৯০ লক্ষ অতিরিক্ত চাকরি হয়েছিল। দশ বছরে চাকরি বেড়েছিল ৭ শতাংশ। সেখানে মোদী সরকারের আমলে গত ১০ বছরে ১৭ কোটি ১৯ লক্ষ চাকরি হয়েছে।” আরবিআইয়ের তথ্য উল্লেখ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “২০১৪ সালে ৪৭.১৫ কোটি কর্মসংস্থান থেকে ২০২৩-২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৬৪.৩৩ কোটি।” শুধু ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষে দেশে ৪ কোটি ৬০ লক্ষ চাকরি হয়েছে বলে তিনি জানান।
কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী জানান, কৃষিক্ষেত্র, উৎপাদন, সার্ভিসেস সেক্টরে কর্মসংস্থান লাফিয়ে বেড়েছে। একইসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, কর্মসংস্থান বাড়ার সঙ্গে কমেছে বেকারত্বের হার। ২০১৭-১৮ সালে বেকারত্বের হার ছিল ৬ শতাংশ। ২০২৩-২৪ সালে বেকারত্বের হার কমে হয়েছে ৩.২ শতাংশ। আর কর্মসংস্থানের হার ২০১৭-১৮ সালে ছিল ৪৬.৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ সালে তা হয়েছে ৫৮.২ শতাংশ। গত ৭ বছরে ১৮ থেকে ২৮ বছর বয়সী ৪ কোটি ৭০ লক্ষের বেশি যুবক-যুবতী ইপিএফও-তে যুক্ত হয়েছেন।