AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Agni Missile: ক্ষমতা জানলে হাঁটু কাঁপবে শত্রুদের! অগ্নি-১ ও পৃথ্বী ২ ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা সেরে ফেলল ভারত

Agni-Prime Missile: পুরোনো তো বটেই নতুন সমরসজ্জার সঙ্গেও সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র। নিউক্লিয়ার ও কনভেনশনাল, উভয় ধরনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। একইসঙ্গে Road ও Rail-mobile প্ল্যাটফর্ম থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য।

Agni Missile: ক্ষমতা জানলে হাঁটু কাঁপবে শত্রুদের! অগ্নি-১ ও পৃথ্বী ২ ব্যালিস্টিক মিসাইলের পরীক্ষা সেরে ফেলল ভারত
আরও ক্ষমতা বাড়ছে ভারতীয় সেনার Image Credit: Social Media
| Edited By: | Updated on: Jul 18, 2025 | 6:28 PM
Share

সায়ন্ত ভট্টাচার্য ও দীপেন্দু পালের রিপোর্ট 

বালাসোর: ভারতীয় প্রতিরক্ষার মুকুটে জোড়া সাফল্যের পালক। একই দিনে, পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম স্বল্প পাল্লার দুটি ব্যালিস্টিক মিসাইলের সফল পরীক্ষা সেরে ফেলল প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। ওড়িশার উপকূলের বালাসোরের কাছে ডঃ এপিজে আব্দুল কালাম দ্বীপ থেকে ভারতের Strategic Forces Command এর তরফে এই পরীক্ষা করা হয়। এ সব এমন ক্ষেপণাস্ত্র যার বৈশিষ্ট্য় জানলে রীতিমতো হাঁটু কেঁপে যাবে শত্রু শিবিরের। 

এর মধ্যে ‘পৃথ্বী ২’ ৩৫০ কিলোমিটার দূরে ও ‘অগ্নি-১’ ৭০০ কিলোমিটার দূরের টার্গেটকে ধ্বংস করতে পারে। দুটি মিসাইল-ই পাকিস্তানকে জবাব দিতে তৈরি। চিনা আগ্রাসনের জবাব দিতে ভারতের ভাঁড়ারে রয়েছে ৫০০০ কিলোমিটার পাল্লার অগ্নি-৫ ইন্টার কন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিসাইল। ‘পৃথ্বী ২’ সারফেস টু সারফেস শর্ট রেঞ্জ ব্যালিস্টিক মিসাইল। এই মিসাইল ৫০০ কিলোগ্রাম পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম। লিকুইড ফুয়েল টুইন ইঞ্জিনে ভর করে এই মিসাইল নিখুঁতভাবে নিশানায় আঘাত করতে পারে।

অন্যদিকে, ‘অগ্নি-১’ বহন করতে পারে ১০০০ কিলোগ্রামের ‘নিউক্লিয়ার পে-লোড’। এর ইন্টারনাল গাইডেন্স সিস্টেমকেও আপগ্রেড করা হয়েছে। রয়েছে মাইক্রো-ন্যাভিগেশন। এই মিসাইলের পুরো সিস্টেমটিই থাকে Hermetically-Sealed Container-এর মধ্যে। যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে যা দ্রুত মোতায়েন করতে সহায়কের ভূমিকা পালন করে। একইসঙ্গে গোপনীয়তা বজায় রাখতেও এর জুড়ি মেলা ভার। এর রেঞ্জ প্রায় ১ হাজার থেকে ২ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত। অর্থাৎ, কাছে যেতে হবে না, ঘরে বসেই সূদূরে থাকা শত্রু শিবিরে এই ক্ষেপণাস্ত্রের হাত ধরে অবলীলায় আঘাত হানা সক্ষম। এতে দুই ধাপ বিশিষ্ট সলিড ফুয়েল প্রোপালসন ব্যবহার করা হয়েছে। 

একইসঙ্গে পুরোনো তো বটেই নতুন সমরসজ্জার সঙ্গেও সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারে এই অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র। নিউক্লিয়ার ও কনভেনশনাল, উভয় ধরনের ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। একইসঙ্গে Road ও Rail-mobile প্ল্যাটফর্ম থেকে উৎক্ষেপণযোগ্য। ফলে যুদ্ধক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় টিকে থাকার পক্ষেও এই ক্ষেপণাস্ত্র বিশেষভাবে সক্ষম।  

রয়েছে উন্নতমানের নেভিগেশন সিস্টেম। থাকছে Advanced Inertial Navigation System (INS) ও স্যাটেলাইট-সহায়িত গাইডেন্স। CEP মাত্র কয়েক মিটারের মধ্যে — অর্থাৎ অত্যন্ত নিখুঁতভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতেও সক্ষম। এই মিসাইল তৈরিতে খুবই হালকা সরঞ্জাম যেমন ব্যবহার করা হয়েছে তেমনই মর্ডা থার্মাল শেল্ডিংও প্রযুক্তিও থাকছে। ফলে ভারী না হলেও শক্তিতে এক্কেবারে বিধ্বংসী। নতুন প্রজন্মের এই ক্ষেপণাস্ত্র অ্যান্টি শিপ ব্যালেস্টিক মিসাইল হিসাবেও ব্যবহার সম্ভব। এখন এর সফল এই উৎক্ষেপণের মাধ্যমে ভারতের “Credible Minimum Deterrence” নীতির আওতায় স্ট্র্যাটেজিক প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও দৃঢ় হল বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের।