নয়া দিল্লি: অবসরের দিনই ফের মেয়াদ বাড়ল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রধানের (Enforcement Directorate Chief)। বৃহস্পতিবারই ইডি প্রধান সঞ্জয় কুমার মিশ্রের (Sanjay Kumar Mishra) মেয়াদ আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়. এই নিয়ে তৃতীয়বার ইডি অধিকর্তা হিসাবে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বাড়ানো হল। বৃহস্পতিবারই কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা জারি করে জানানো হয়, আরও এক বছরের জন্য এস কে মিশ্রের পদের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। তৃতীয়বার মেয়াদ বৃদ্ধির ফলে আগামী বছর তিনি ইডি অধিকর্তা হিসাবে পাঁচ বছর পূর্ণ করবেন।
কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর, একাধিক রাজ্যে আর্থিক তছরুপ সংক্রান্ত একাধিক মামলার তদন্ত চলছে। এই মামলাগুলি যাতে যথাযথভাবে নিষ্পত্তি হয়, সেই কারণেই ইডি অধিকর্তা হিসাবে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ আরও এক বছর বাড়ানো হল। উল্লেখ্য, সঞ্জয় কুমার মিশ্রই ইডির প্রথম অধিকর্তা যার কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। ২০২০ সালে প্রথমবার এক বছরের জন্য তাঁর পদের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এরপর কেন্দ্রের তরফে একটি বিশেষ অর্ডিন্যান্স আনা হয়। সেই অর্ডিন্যান্সে বলা হয়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ও সিবিআইয়ের অধিকর্তাদের মেয়াদ সর্বোচ্চ পাঁচ বছর অবধি বৃদ্ধি করা যাবে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের তরফে এই মেয়াদ বৃদ্ধির নিয়ম আনার আগে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির প্রধানদের কার্যকালের মেয়াদ দুই বছর ছিল। কিন্তু অর্ডিন্যান্স এনে তা পাঁচ বছর করা হয়।
২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর প্রথমবার সঞ্জয় কুমার মিশ্রের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয় ইডি অধিকর্তা হিসাবে। সেই সময়ে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে মামলাও করা হয়। তবে শীর্ষ আদালতের তরফে এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করা হয় এবং বলা হয়, সিভিসি আইনে দুই বছরের মেয়াদকাল সম্পর্কে কোনও উল্লেখ নেই। মামলার নিষ্পত্তি করতে মেয়াদ বাড়ানোই যেতে পারে।
এরপরে ২০২২ সালে সঞ্জয় কুমার মিশ্রের পদের মেয়াদ ফুরোনোর ঠিক আগের দিন, দ্বিতীয়বারের জন্য তাঁর পদের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। আজ, ১৮ নভেম্বর তাঁর অবসর গ্রহণের দিন ছিল। কিন্তু তার আগেই গতকাল কেন্দ্রের তরফে ফের একবার তাঁর পদের মেয়াদ বাড়ানো হল।
৬২ বছরের আইআরএস কর্তা ২০১৮ সালে যোগ দিয়েছিলেন ইডি অধিকর্তা হিসাবে। তার পর ২০২০ সালে প্রথম এবং ২০২১ সালে আরও এক বার পদের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল তাঁর। বৃহস্পতিবার কেন্দ্র আবার সঞ্জয়ের মেয়াদ বাড়ানোয় ইডির অধিকর্তা হিসাবে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের মেয়াদ বৃদ্ধির সীমাও ছুঁয়ে ফেললেন তিনি।