মুম্বই: বেআইনি আর্থিক লেনদেন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে শিবসেনা নেতা তথা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে। আগামী ৪ অগস্ট অবধি ইডি হেফাজতেই থাকবেন তিনি। ইতিমধ্যেই সঞ্জয় রাউত সম্পর্কে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য আসতে শুরু করেছে ইডির হাতে। মুম্বইয়ের পত্র চউল জমি দুর্নীতি মামলায় জড়িত শিবসেনা নেতা নাকি নগদ তিন কোটি টাকা দিয়েছিলেন ১০টি জমি কেনার জন্য। মঙ্গলবার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তরফে এই তথ্যই জানানো হয়েছে।
রবিবার শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতকে গ্রেফতারির আগেই সকালে তার বাড়ি সহ মুম্বইয়ের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়েছিল। ইডির তরফে সোমবার সঞ্জয় রাউতকে যখন বিশেষ আদালতে তোলা হয়েছিল, সেই সময়ে তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, গোরেগাঁওয়ের পত্র চাউলের পুনর্নিমাণ নিয়ে যে ব্য়াপক দুর্নীতি হয়েছিল, তাতে অপরাধের অংশ হিসাবেই সঞ্জয় রাউতের পরিবার ১ কোটি টাকা পেয়েছিলেন। এই টাকাই পরে জমি কেনার জন্য ব্যবহার হয়েছিল।
ইডির তরফে জানানো হয়েছে, পত্র চউল দুর্নীতি মামলায় প্রধান অভিযুক্ত প্রবীণ রাউত, যিনি সঞ্জয় রাউতের ঘনিষ্ট হিসাবেই পরিচিত, তার সঙ্গেই আর্থিক লেনদেন হয়েছিল। গুরু আশীষ কন্সট্রাকশনের ডিরেক্টর প্রবীণই কয়েক কোটি টাকা দিয়েছিলেন সঞ্জয় রাউতকে। সেই টাকার মধ্যে থেকে তিন কোটি টাকা দিয়ে কিহিম বিচ, আলিবাগে মোট ১০টি জমির প্লট কেনা হয়েছিল। যাবতীয় আর্থিক লেনদেন নগদ অর্থেই করেছিলেন সঞ্জয় রাউত।
সূত্রের খবর, সম্প্রতিই ইডি যে দুটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল, তা হাউসিং ডেভেলপমেন্ট ইনফ্রাস্টাকচার লিমিটেড নামক সংস্থার সঙ্গে লেনদেনে যুক্ত ব্যক্তির বাড়ি ও ওই সংস্থার আরেকটি জমি ছিল। লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তির ইতিমধ্যেই বয়ান রেকর্ড করেছে ইডি, এমনটাও জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত ব্য়ক্তি ও এইচডিআইএল সংস্থার একটি অফিস থেকে এই সংক্রান্ত বেশকিছু নথিও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
রিমান্ড রিপোর্টে ইডি আধিকারিকেরা জানিয়েছেন,পত্র চউল পুনর্নিমাণ ঘিরে যে দুর্নীতি হয়েছিল, তাতে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে প্রবীণ রাউতের হাত থেকে সঞ্জয় রাউতের কাছে গিয়েছিল। প্রতি মাসেই মোটা অঙ্কের টাকা পেতেন সঞ্জয় রাউত। এখনও অবধি ১.০৬ কোটি টাকার একটি লেনদেনের হিসাব পেয়েছে ইডি।