নয়া দিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপ কিছুটা কমতেই তৈরি হয়েছিল তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা। গবেষকরা দাবি করেছিলেন, আগামী ঢেউয়ে শিশুদেরই সংক্রমণের সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। ধীরে ধীরে সেই অবস্থান থেকেই সরছেন বিশেষজ্ঞরা, বৃহস্পতিবারই একটি ওয়েবিনারে আন্তর্জাতিক পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডঃ নবীন ঠক্কর বলেন,”সংক্রমণের আসন্ন ঢেউয়ে শিশুরাই সংক্রমিত হবে, এর কোনও জৈবিক কারণ নেই।”
“কোভিড-১৯ তৃতীয় ঢেউ: প্রতিরোধ ও প্রস্তুতি” নামক একটি ওয়েবিনারে আন্তর্জাতিক পেডিয়াট্রিক অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট ডঃ নবীন ঠক্কর বলেন,”শিশুদের থেকে কখনও বড়রা সংক্রমিত হয় না, বরং উল্টোটাই হয়ে এসেছে বরাবর। সুতরাং জৈবিক কোনও কারণ নেই, যার উপর ভিত্তি করে বলা যায় যে তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুরাই সংক্রমিত হবে।”
করোনা সংক্রমণ থেকে শিশুরা যে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত নয়, এই বিষয়টিতে জোর দিয়ে তিনি বলেন, “করোনা ও লকডাউনের কারণে শিশুদের বাকি টিকাকরণ ব্যহত হয়েছে, যার প্রভাব রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাতেও পড়বে। স্কুল বন্ধ থাকায় শিশুদের উপর মানসিক চাপও বাড়ছে। তবে শিশুরা করোনা সংক্রমিত হলেও তাদের অধিকাংশই উপসর্গহীন এবং সংক্রমণও খুব একটা গুরুতর হয় না। তাই অভিভাবকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই।”
আইআইটি কানপুরের অধ্যাপক রাজেশ রঞ্জন, যিনি করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, তিনি বলেন, ” করোনা বিধি অনুসরণের পাশাপাশি টিকাকরণও অত্য়ন্ত জরুরি। কারণ টিকাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সংক্রমণ গুরুতর আকার ধারণ করে না এবং তাদের থেকে সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনাও যথেষ্ট কম।”
তিনি বলেন, “তৃতীয় ঢেউ যে আসবে না, এই কথাটা বলা ভুল। আমেরিকা, ব্রিটেন, জাপান ও রাশিয়া ইতিমধ্য়েই একাধিক সংক্রমণের ঢেউ দেখেছে। করোনা ভাইরাস অদ্ভুত, তাই এর গতিবিধি নিয়ে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না। তৃতীয় ঢেউয়ে ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, তাই এই বয়সীদের টিকাকরণে জোর দেওয়া উচিত।”
আইআইটি কানপুরের অধ্যাপক জানান, তাদের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে ষাটোর্ধ্বদের মধ্যে ৪০ শতাংশের হার্ড ইমিউনিটি তৈরি য়েছে, সেখানেই ১৮ থেকে ৫৯ বছর বয়সীদের মধ্যে মাত্র ২৫ শতাংশের হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে। আরও পড়ুন: সীমানায় ফিরছে শান্তি, অসম থেকে মিজোরাম যাওয়ায় উঠল বিধিনিষেধ