ফের মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ব্লিনকিন, আফগান পরিস্থিতিতে ‘মিলিত সিদ্ধান্ত’ নিতেই সম্মত ২ দেশ

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 20, 2021 | 12:45 PM

বিদেশমন্ত্রী জানান, আফগান নাগরিকদের সঙ্গে সম্পর্কের উপর ভিত্তি করেই আফগানিস্তানের প্রতি ভারতের মনোভাব ও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থির করা হবে।

ফের মুখোমুখি জয়শঙ্কর-ব্লিনকিন, আফগান পরিস্থিতিতে মিলিত সিদ্ধান্ত নিতেই সম্মত ২ দেশ
ফাইল চিত্র।

Follow Us

নয়া দিল্লি: আফগানিস্তান(Afghanistan)-র পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে ভারত ও আমেরিকা। উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে তাই সাত দিনের মধ্যে ফের একবার মুখোমুখি হলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar) ও মার্কিন স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকিন (Antony Blinken)।

রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের  (UN Security Council) মাঝেই আলাদাভাবে দুই দেশের প্রতিনিধি মুখোমুখি হলেন। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দুই দেশের তরফে মিলিতভাবে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। মার্কিন স্টেট ডিপার্মেন্টের মুখপাত্র নেড প্রাইস এই বিষয়ে বলেন, “স্টেট সেক্রেটারি অ্যান্টনি ব্লিনকিন ও ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর আফগানিস্তানের বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং মিলিতভাবে এগানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে সেনা প্রত্যাহার শুরুর পর থেকেই তালিবানরা নিজেদের শক্তি প্রকাশ করতে থাকে। সম্পূর্ণরূপে সেনা প্রত্যাহারের আগেই আফগানিস্তানের দখল নেয় তালিবানরা। বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আফগানিস্তানে আটকে থাকা মার্কিন নাগরিকদের দেশে ফেরাতেই উদ্যোগী আমেরিকা। তবে তাদের বিমানে আশ্রয় নেওয়া আফগান নাগরিকদেরও ফিরিয়ে দেয়নি তারা। এখনও অবধি কয়েক হাজার আফগান নাগরিককে উদ্ধার করে আনা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে পেন্টাগনের তরফে।

এর আগেও রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকেই তালিবানদের কাবুল দখল নেওয়ার বিষয়ে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রধান অ্যান্তেনিও গাতেরাসের সঙ্গেও কথা বলেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি জানান, আফগান নাগরিকদের সঙ্গে সম্পর্কের উপর ভিত্তি করেই আফগানিস্তানের প্রতি ভারতের মনোভাব ও দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক স্থির করা হবে। শুধু ভারত নয়, অন্যান্য দেশও আফগানিস্তানের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে বলে জানান তিনি।

এই নিয়ে বিগত ১০ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার মুখোমুখি হল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। দুইবারেই তাদের আলোচ্য বিষয় ছিল আফগানিস্তানের পরিস্থিতি, যেখানে তালিবানের দাপটে এক সপ্তাহের মধ্যেই পতন হয়েছে আফগানিস্তানের গণতান্ত্রিক সরকারের। মানবাধিকার ও নারী সুরক্ষা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তালিবানদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে, তারা সকলকে ক্ষমা করে দেওয়া ও নারী সুরক্ষা-স্বাধীনতা রক্ষার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা যেন রক্ষা করা হয়।

যদিও মহিলাদের কাজে যোগ দিতে বাধা, চাবুকের আঘাত, স্বাধীনতা দিবসের মিছিলে নির্বিচারে গুলি চালনা সহ একাধিক ঘটনায় তালিবানের সেই প্রতিশ্রুতি মিথ্যাই প্রমাণিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই তালিবানিরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে মার্কি্ন ও ন্যাটো বাহিনীকে মদতদাতাদের খোঁজ চালাচ্ছে। আত্মসমর্পণ না করলে জোর করে পাকড়াও এবং পরিবারের লোকজনদেরও খতম করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। কান্দাহার ও হেরাতের ভারতীয় দূতাবাসেও হানা দিয়েছে তালিবানরা। দখল করে নিয়েছে সমস্ত গাড়ি। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ নথিও হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আরও পড়ুন : ‘সরকার বদলেছে, তোমাকে দরকার নেই’, অফিসে এসে হতভম্ব অ্যাঙ্কর শবনম

Next Article